শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনে এ ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, রেলের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বিএনপি এর বিরোধিতা করছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিএনপি পেছনের দরজা দিয়ে দল গঠন করে। একইভাবে জাতীয় পার্টিও দল গঠন করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ জনগণের দল।
এ সময় তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তারেক জিয়া পলাতক আসামি। তারা ভোটে অংশ নিতে পারবেন না।
তিনি বলেন, অচিরেই পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত নতুন রেল লাইন স্থাপনের কাজ শুরু হবে। এর ফলে ভারতের সঙ্গে কানেকটিভিটির সুযোগ তৈরি হবে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে পঞ্চগড় থেকে মংলা এবং আগামী ২৩ সালের জুনে পঞ্চগড় থেকে কক্সবাজার রেল যোগাযোগ চালু হবে।
পরে তিনি রেলওয়ে স্টেশনের কার পার্কিং এরিয়া, এপ্রোচ রোড, গেইট এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন (পঞ্চগড়) থেকে সান্তাহার (বগুড়া) পর্যন্ত আন্তঃনগর দোলচাঁপা এক্সপ্রেসের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী) মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, পঞ্চগড় জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাকিবুল ইসলামসহ রেলওয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সান্তাহার থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত রেলরুটে চলাচলকারী দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ১৯৮৬ সালের ১৬ মার্চ উদ্বোধন করা হয়। পঞ্চগড়ের সঙ্গে এর কোনো যোগাযোগ ছিল না। অবশেষে পঞ্চগড়সহ ঠাকুরগাঁওবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেন সার্ভিসটি চালু হলো। দোলনচাঁপা পঞ্চগড় থেকে প্রতিদিন ভোর ৬টায় সান্তাহারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে এবং সান্তাহার থেকে সকাল ১১টায় পঞ্চগড়ের উদ্দেশে যাত্রা করবে।