খুলনায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাসটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। এ সময় আগুনে বাসের ভেতরে পুড়ে মারা গেছে মো. শরীফ (১২) নামে এক শিশু হেলপার। সে গাড়ির ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় আগুন লাগে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে। মশার কয়েল থেকে আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও পরিবহণ শ্রমিকরা। তদন্ত ছাড়াই পুলিশের এমন বক্তব্যে ধোয়াশা দেখছেন সচেতন নগরবাসি।
খুলনা রিপোর্টার্স ইউনিটের সাধারন সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা জামাল পপলু বলেন, অগ্নিকান্ডে শিশু হেলপারের মৃত্যুর ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই পুলিশের এমন মুখস্ত বক্তব্য অনেক সময়ে সত্যতে আড়াল করে। তদন্ত ছাড়াই পুলিশের যখন তখন বক্তব্য সচেতনমহলে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে। পপলু পুলিশের বক্তব্যের ব্যাপারে আরো বেশি দায়িত্ব হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
এদিকে সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সুন্দরবন পরিবহণের একটি বাসের মধ্যে হেলপার শরিফুল ঘুমিয়ে ছিল। মশার কয়েল থেকে রাত ২ টার দিকে বাসে আগুন ধরে যায়। এতে বাসটি পুড়ে গেছে। এছাড়া আগুনে পুড়ে বাসের মধ্যে থাকা হেলপার শরিফুল নিহত হয়েছে। পরিবহনের মধ্যে মশার কয়েল ছিলো কিভাবে নিশ্চিত হলেন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, টার্মিনালের শ্রমিকরা বলেছেন।
অপরদিকে পরিবহণ শ্রমিকরা জানায়, বাসের অনেক হেল্পার রাতে মশার কয়েল জ্বালিয়ে বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে। এর আগেও সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে মশার কয়েল থেকে বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। নিহত হেলপার শরিফুলের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলায়।
খুলনা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো. ফেরদৌস হোসেন বলেন, ‘রাত পৌনে ২টার দিকে সুন্দরবন পরিবহণের একটি বাসে আগুন লাগে। এতে বাসের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা শরীফ নামে এক হেলপার পুড়ে মারা গেছে। আগুনে বাসের ৮ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়।’