খুলনার হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ১৩, ২০২৫, ১২:৫৩ অপরাহ্ণ /
খুলনার হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে

জানুয়ারির শুরুতেই শীতের তীব্রতা বাড়ছে খুলনায়। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির কারণে শিশুরা চর্মরোগ ও কোল্ড ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে খুলনাসহ আশপাশের অঞ্চল তেরখাদা, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, রূপসা, বাগেরহাট, মংলা, সাতক্ষীরা, নড়াইল, কালিয়া, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, যশোরসহ থেকে শিশুরা চর্মরোগ ও কোল্ড ডায়রিয়ায় ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু হাসপাতালে ভিড় করছে রোগীরা।

নগরীর শিশু হাসপাতালে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও চর্মরোগ ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

শিশু হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, খুলনা শিশু হাসপাতালে হাসপাতালের বেড সংখ্যা রয়েছে ২৭৫ টি। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আউটডোর রোগী চিকিৎসা নিয়েছে ১৩ হাজার ৪৪৬ জন শিশু। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৩৮২ জন শিশুকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। ভর্তিকৃত শিশুদের মধ্যে ৪৪০ জন ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ১১৯ জন শিশু। জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে এই হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছে ২ হাজার ১৯৫ জন। এর মধ্যে ২৭৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়। এর মধ্যে ডায়রিয়ার রোগী ১১৯ ও নিউমোনিয়ার রোগী ১৬ জন। তবে বর্তমানে শিশু হাসপাতালে কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা বেশি আসছে ।

দিঘলিয়ার থেকে আসা শিশু রোগীর অভিভাবক নুরজাহান দৈনিক খুলনাঞ্চলকে জানান, জানুয়ারির শুরুতেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। শিশুর সর্দি, জ্বর, কাশিসহ পাতলা পায়খানায় ভুগছিল। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। ডাক্তারসহ সেবিকাদের যত্নে বাচ্চা এখন আগের থেকে ভাল আছেন।

পিরোজপুর জেলা থেকে আসা শিশু রোগীর অভিভাবক শিমুল বলেন, তাজবীদের বয়স ১১ মাস। তাজবীদ হঠাৎ করে বমি ও পাতলা পায়খানা করতে থাকলে দিশেহারা হয়ে পড়ি আমরা পরিবারের সকলেই। পরবর্তীতে পিরোজপুর প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্য চিকিৎসক খুলনার শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার মান অনেক ভালো।

খুলনা শিশু হাসপাতালের ডা: মুহা: আনোয়ারুল জানান, জানুয়ারির শীত প্রবাহের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগীর মধ্যে বর্তমানে চর্মরোগ, নিউমোনিয়া ও কোল্ড ডায়রিয়া রোগী সংখ্যাই বেশি। তবে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুর পানি শূণ্যতার কারণেই ভর্তি করা হচ্ছে। পানি শূণ্যতা না থাকলে মুখের খাবার স্যালাইন, রাইচ স্যালাইন চালিয়ে যাওয়াসহ চিকিৎসাপত্র দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের খাবার স্যালাইন খাওয়ানো পাশাপাশি বাড়তি যত্ন নেওয়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা, ওষুধ প্রয়োগ ও চর্মরোগ নিধণের জন্য অবশ্যই শিশুদের হাত হ্যান্ডওয়াশ, স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে শিশুদের গোসল করানো থেকে বিরত রাখতে হবে।