খুলনা-বেনাপোল ও আনসারবাড়িয়া রেলপথে গত ১০ বছরে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছেন ৩৪৮ জন মানুষ। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে এসব লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ। এই হিসাবে ওই সময়ে প্রতি মাসে গড়ে লাশ উদ্ধারের সংখ্যা ৪০ জনেরও বেশি।
রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খুলনা থেকে ঝিনাইদহের আনসারবাড়িয়া স্টেশনের দূরত্ব ১১৪ কিলোমিটার। এরমধ্যে খুলনা-বেনাপোল রুটের দূরত্ব ৯২ দশমিক ৬০ কিলোমিটার। গত ১০
বছরে এ রেলপথে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩৪৮ জন নিহত হয়। এর ম মাধ্যে ২০১৫ সালে নিহত হয় ৪৫ জন, ২০১৬ সালে ৩৮ জন, ২০১৭ সালে ৩৮ জন, ২০১৮ সালে ২৮ জন, ২০১৯ সালে ৩৩ জন, ২০২০ সালে ৪০ জন, ২০২১ সালে ২৭ জন, ২০২২ সালে ৩৮ জন, ২০২৩ সালে ৩০ জন ও ২০২৪ সালের নিহত হয় ৩১ জন মানুষ।
খুলনা রেলওয়ে থানা ওসি মোঃ মোশাররফ হোসেন জানান, মূলত রেললাইন ধরে অসতর্কভাবে হাঁটা, কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইনের পাশ দিয়ে যাতায়াত, তাড়াহুড়া করে রেলক্রসিং পার হওয়ার কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। অনেকে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ। দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ছাড়া অনেক সময় হত্যা করে ফেলে রেখেও যায়।
তবে রেল লাইন থেকে উদ্ধার করা প্রতিটি লাশের ঘটনায় মামলা হয়। পুলিশ গুরুত্ব সহকারে তদন্তও করে। তদন্তে হত্যা মনে হলে হত্যা মামলা করা হয়। আর আত্মহত্যা বা অসাবধানতা মৃত্যু হলে তখন অপমৃত্যুর মামলা হয়। তবে মৃত্যু কমিয়ে আনতে সবাইকে সতর্ক হয়ে চলাচলের আহ্বান জানান তিনি