অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি একে লুটেরা অর্থনীতি (Lumpen Economy) বা স্বজনতোষণ অর্থনীতি (Crony Capitalism) বলে অভিহিত করেছেন। এসব অর্থনীতির লক্ষ্য হচ্ছে অন্যায়-অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অবৈধ ব্যবহার ও বণ্টন। একটি সুবিধাবাদী জনশ্রেণী সৃষ্টির মাধ্যমে এরা কায়েমি স্বার্থবাদকে শক্ত-পোক্ত করতে চায়। নির্বাচনের মতো বিধিব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের জন্য একদল সুবিধাবাদী দালালশ্রেণী তৈরি করতে চায়। অর্থনীতিবিদরা এ ধরনের রাষ্ট্রিক ও গণতান্ত্রিক অর্থনীতিকে নির্দেশিত অর্থনীতি (Command Economy) বলে বর্ণনা করেছেন।
এসব তত্ত্বকথা অবতারণার কারণ হলো- প্রকাশিত অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র প্রতিবেদন। বিগত আওমী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত সময়ে অর্থনীতির একটি মর্মান্তিক চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে এই শ্বেতপত্রে। পাচার, ঘুষ, আত্মসাৎ ও লুটপাটের যে চিত্র উঠে এসেছে তা ভয়াবহ। আমাদের সমস্ত কল্পনাশক্তিকে তা হার মানায়। টাকায় এর পরিমাণ ২৮ লাখ কোটি টাকা। এই হিসাবে প্রতি বছর গড়ে এক লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ, দালাল আমলা, অসৎ ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্বভোগীরা এই বিশাল অঙ্কের টাকা পাচার করেছে।
শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য় বিস্ময়াভিভূত হয়ে বলেন, ‘সমস্যা যতটা ভেবেছিলাম তার চেয়েও গভীর। প্রায় ৪০০ পৃষ্ঠার দীর্ঘ শ্বেতপত্রে উঠে এসেছে, কিভাবে পুঁজিবাদ অলিগার্কদের জন্ম হয়েছে। কিভাবে তারা নীতি প্রণয়ন নিয়ন্ত্রণ করেছে।’ Global financial integrity reports-GFIRS এবং কিছু সুনির্দিষ্ট পূর্বানুমানের ভিত্তিতে টাকা পাচারের হিসাব কষেছে শ্বেতপত্র কমিটি। টাকা পাচারের বিষয়টিকে আওয়ামী অর্থনীতির টিউমার বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে- বিগত সরকারের আমলে অর্থনীতি ও সম্পদের এক বড় অংশ এই ক্ষতিকর টিউমার চুষে নেয়। গড়ে প্রতি বছর মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপির ৩ দশমিক ৪ শতাংশ পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স থেকে যে আয় হয়েছে তার ৫ ভাগের ১ ভাগ অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে গিয়েছে। বিদেশী ঋণ বিনিয়োগ হিসাবে যত অর্থ আসে আওয়ামী আমলে এর দ্বিগুণ অর্থ পাচার হয়ে যায়। দেশ থেকে কারা কিভাবে কোথায় টাকা পাচার করেছেন- সেই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে শ্বেতপত্রে। টাকাপাচারের জন্য দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, সুবিধাবাদী আমলা, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী ও পেশাগত দুর্নীতিবাজদের এক কু-চক্র সক্রিয় থেকেছে। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার, মেগা প্রকল্পের মেগা খরচ, ব্যাংক দখল, করফাঁকি ও শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির মতো ভয়ানক ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত, দুবাই ও ভারতে এসব অর্থ পাচার হয়েছে। এসব দেশে নামে-বেনামে আওয়ামী দুর্নীতিবাজদের বাড়ি-গাড়ি ও বিপুল সহায় সম্পত্তি রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, দুবাইয়ে এদের ৫৩২টি বাড়ি তথা স্থাপনা রয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত তিন হাজার ৬০০ বাংলাদেশী মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম হিসেবে ঠিকানা পেয়েছে। শ্বেতপত্রে বলা হয়, আওয়ামী সরকার রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি, আইনি দায়মুক্তি ও দুর্নীতির মাধ্যমে এসব কেলেঙ্কারি ঘটায়।
শ্বেতপত্র প্রণয়নকারীরা ২.৫ লাখ কোটি টাকা ঘুষবাণিজ্যের সন্ধান পেয়েছেন। সরকারি বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন পণ্য ও সেবা কেনাকাটার দেখানো হয়েছে সাত লাখ কোটি টাকা। এই অর্থ সড়ক, সেতু, বিদুৎ, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে ব্যয় দেখানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঘুষের পরিমাণ হয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা থেকে দুই লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার মতো। এসব ঘুষ নিয়েছেন আওয়ামী রাজনৈতিক নেতা, বড় বড় আমলা ও তাদের সহযোগীরা।
আওয়ামী লুটপাটের বড় একটি খতিয়ান এসেছে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে। শ্বেতপত্রে বলা হয়েছেÑ এ যেন এক কৃষ্ণগহ্বর বা ব্লাকহোল। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ব্যাংক খাতে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের পরিমাণ ছয় লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ দিয়ে ১৩টি মেট্রোরেল বা ২২টি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেত। আওয়ামী ধনিক-বণিকরা গত দেড় দশকে সরাসরি রাষ্ট্রীয় সহায়তায় অনেক ব্যাংক দখল করেছে।
আওয়ামী অর্থকেলেঙ্কারির আরেকটি ঘটনার নাম শেয়ারবাজার থেকে এক লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে আওয়ামী প্রতারকরা। কারসাজি, মিথ্যাচার, প্লেসমেন্ট শেয়ার ও আইপিওতে জালিয়াতির মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে এক লাখ কোটি বা এক ট্রিলিয়ন টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রভাবশালী উদ্যোক্তা, আওয়ামী গোষ্ঠী, নিরীক্ষক ও বিনিয়োগকারীরা রীতিমতো একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রভাবশালী উদ্যোক্তা, আওয়ামী গোষ্ঠী, ইস্যু ম্যানেজার, নিরীক্ষক ও বিনিয়োগকারীরা টাউট-বাটপাড়দের নিয়ে একটি বড় নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে।
প্রতিবেদন অনুসারে, উন্নয়ন প্রকল্পের নামে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রায় পৌনে তিন লাখ কোটি টাকা অপচয় হয়েছে। গত ১৫ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-এডিপির মাধ্যমে প্রায় সাত লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পের খরচের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা লুটপাট করা হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পে রাজনৈতিক চাঁদাবাজি, ঘুষ ও বাড়তি খরচ দেখিয়ে এই বিপুল অর্থ লুটপাট করেছেন পলাতক ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা ও কর্মীরা। এমনকি তারা বোগাস তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে অর্থনীতিকে তাদের মতো করে উপস্থাপন করে। বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের পরিসংখ্যানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়েছে বলে মনে করে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে জিডিপির প্রায় ৬ শতাংশের সমপরিমাণ কর ছাড় দেয়া হয়েছে। শ্বেতপত্র কমিটির মূল্যায়নে আরো বলা হয়, উন্নয়নের নামে বিভিন্ন ‘ভেনিটি’ প্রকল্প অগ্রাধিকার পেয়েছে ওই সময়ের বিভিন্ন অনিয়ম ও লুটপাটের কারণে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি লণ্ডভণ্ড অর্থনীতি পেয়েছে।
এই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আত্মতুষ্টি তৎকালীন নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছিল। তখন সমস্যার স্বীকৃতি মেলেনি। আমাদের নিয়মনীতি এবং বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় সংগঠনগুলো তছনছ হয়ে গেছে। দুর্নীতির দুষ্টচক্র সব স্তরে ঘিরে বসেছে। বিদেশে অর্থপাচারের প্রসঙ্গে বলা হয়, সাবেক সরকারের সুবিধাভোগী নেতাকর্মীরা, ধনিকতন্ত্র বা অলিগার্কের সহযোগিতায় অন্যায়ভাবে অর্জিত বিশাল পুঁজি বিদেশে পাচার করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তথাকথিত উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির নামে রূপ-রস-গন্ধ দিয়ে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক দলিল। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর অর্থনীতিকে যে ভঙ্গুর দশায় পেয়েছি তা এই রিপোর্টে উঠে এসেছে। আমাদের গরিব মানুষের রক্ত পানি করা টাকা যেভাবে তারা লুণ্ঠন করেছে তা আতঙ্কিত হওয়ার মতো। পতিত স্বৈরাচারী শাসনামলে ভয়ের রাজত্ব এতটাই ছিল যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি পর্র্যবেক্ষণকারী বহুপাক্ষীয় সংস্থাও এই লুণ্ঠনের ঘটনায় অনেকাংশেই নীরব ছিল।
শ্বেতপত্র প্রকাশের পর এর প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশকে ‘চামচা পুঁজিবাদ’ থেকে চোরতন্ত্রের দেশে পরিণত করা হয়েছে। আইনসভা, নির্বাহী বিভাগসহ সবাই গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে চুরির রাজত্ব কায়েম করেছে। এটিই চোরতন্ত্র। এতে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও উর্দি পরা কিংবা উর্দি ছাড়া আমলারা সহযোগী হন। এভাবে আমলা-রাজনীতিবিদ নেক্সাসের মাধ্যমে মহালুটপাটের আয়োজন চলে। ওই সময়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে গণতন্ত্রের বদলে চোরতন্ত্র কায়েম হয়। তিনি মন্তব্য করেন, এসব লুটপাটের পর অর্থনীতি এতটাই ফসকে গেছে যে, বাংলাদেশ এলডিসি গ্রুপে থাকার মতো নয়। আমাদের সক্ষমতা, যোগ্যতা, স্থায়িত্ব ও কার্য়কারিতা- এসব নিয়ে এলডিসি গ্রুপে থাকার মতো কারণ নেই। সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হাসান বলেন, হিসাবের গরমিলের কারণে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের ফাঁদে পড়ে গেছে। আরেকজন অর্থনীতিবিদ ড. তামিম বলেন, আগের সরকারের সময় রীতিমতো নীতি প্রণয়ন করে দুর্নীতির পথ সুগম করা হয়েছে।
শ্বেতপত্রের ভয়াবহ প্রতিবেদন দেখে যেকোনো নাগরিক বিচলিত হবেন। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ দৃশ্যত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা লুটপাটের মাধ্যমে জাতির সমস্ত সম্পদ ভোগ করবে। মুখে মুখে গণতন্ত্রের কথা বলবে আর মূলত কায়েম করবে চোরতন্ত্র। তাদের কথিত উন্নয়নের গণতন্ত্র আসলে ছিল চোরতন্ত্র। বিগত ১৫ বছরের তথ্য ও পরিসংখ্যান এই শ্বেতপত্র প্রমাণ্য করে তুলেছে। তারা বলত, দেশকে তারা উন্নয়নের মহসড়কে নিয়ে গেছে। আসলে তারা চোরতন্ত্রের সর্বোচ্চ স্তরে দেশকে পৌঁছে দিয়েছে। বিগত ১৫ বছরে কখনো কখনো এমন সব তথ্য বেরিয়েছে যে, তা নাগরিকের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। একটি কার্যালয়ের বালিশ ও পর্দার যে দাম প্রকাশিত হয়েছে তা এই প্রতিবেদনকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ওই তথ্যটি শুধু একটি অফিসের নয়; বরং প্রতিটি অর্থেই বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতির উদাহরণ।
গণতন্ত্র শুধু একটি শাসনব্যবস্থাই নয়; বরং এর মাধ্যমে শাসকদলের জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হয়। জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার যে নিয়মনীতি আইন সংবিধানে রয়েছে তা আওয়ামী শাসকরা ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। গণতন্ত্রের বাতাবরণে যে তথ্যের স্বাধীনতা দৃশ্যমান হয়, তা কখনোই আওয়ামী শাসকরা অনুমোদন করেনি। এটি খুব বিস্ময়ের ব্যাপার যে, একেবারে তৃণমূল থেকে রাজধানী পর্যন্ত এই দুর্নীতির রাজত্ব পাকাপোক্তভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই দুঃসহ দুর্নীতির কারণে সমাজে ও রাষ্ট্রে নীতিনৈতিকতার রীতিমতো অবসান ঘটে। লক্ষ করার মতো বিষয় যে, স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনগুলো এর আগে কখনোই দলীয় প্রতীকে বা দলীয় পরিচয়ে অনুষ্ঠিত হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলতন্ত্রের মাধ্যমে চোরতন্ত্র কায়েম করেছে। আর কবর রচিত হয়েছে গণতন্ত্রের।
১৫ বছর দীর্ঘায়িত এই চোরতন্ত্র সমাজের গহিন-গভীরে এমনভাবে বাসা বেঁধেছে যে, দুর্নীতিবাজরা প্রতিটি স্তরে নিরঙ্কুশ আধিপত্য কায়েম করেছে। এর অবসানে সৎ ও ভালো মানুষরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত বিপ্লবের মাধ্যমে এই অবস্থার অবসান ঘটেছে। এর মাধ্যমে চোরতন্ত্রের পরিবর্তে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি যথার্থ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংস্কার শেষে নির্বাচনের ব্যবস্থার মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা আশা করব, সমাগত নির্বাচনে চোরতন্ত্রের পরিবর্তে গণতন্ত্র কায়েম হবে এবং বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র নতুন করে গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে আগুয়ান হয়েছে। অবশেষে টমাস গ্রিনের সেই বিখ্যাত উক্তির মাধ্যমে শেষ করি : ‘Democracy may be failed in many battles but if wins the last.’
লেখক : অধ্যাপক (অব:) সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]