বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়দানকারী জাতিসঙ্ঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরাইলি হামলায় নিহতদের জন্য ফিলিস্তিনিরা শোক প্রকাশ করছেন-ছবি - সংগৃহীত
গাজায় গত ১৮ মার্চ ভোরে শুরু হওয়া অভিযানে এখনো পর্যন্ত এক হাজার ৬৯১ নিহত এবং চার হাজার ৪৬৪ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন । উত্তর গাজায় বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়দানকারী জাতিসঙ্ঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরাইলি হামলায় নিহতদের জন্য ফিলিস্তিনিরা শোক প্রকাশ করছেন
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি গণহত্যায় মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ৬৫ জনে।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় আরো ৭৩ জন আহত হয়েছে। এতে ইসরাইলের আক্রমণে মোট আহতের সংখ্যা এক লাখ ১৬ হাজার ৫০৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে না পারায় অনেক ভুক্তভোগী এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়েছেন।’
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির দুই মাসের মধ্যেই ইসরাইল আবারো ব্যাপকহারে সামরিক অভিযান চালানো শুরু করে। গত ১৮ মার্চ ভোরে শুরু হওয়া অভিযানে এখনো পর্যন্ত এক হাজার ৬৯১ নিহত এবং চার হাজার ৪৬৪ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে তুর্কী বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। এর আগে, ইসরাইল গত ২ মার্চ থেকে গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সেখানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
গাজায় সামরিক অভিযান চালানোর জন্য গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।