যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা-সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক মহলের যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় নৃশংস গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাজুড়ে বুধবার দিনভর চালানো ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো শত শত মানুষ। নিহতদের মধ্যে অনেকেই খাদ্য ও মানবিক সহায়তা নিতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে একাধিক হাসপাতাল সূত্র।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) তুর্কী বার্তাসংস্থা আনাদোলু অ্যাজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
একটি হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, গাজার পূর্বাংশে শেজাইয়া এলাকায় দুটি বিমান হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুটি শিশুও রয়েছে। এই ঘটনায় আরো অনেকে আহত হয়েছেন।
মধ্য গাজার নেতজারিম করিডোরে ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে আটজন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের পশ্চিম অংশে তিনজন ত্রাণ প্রত্যাশীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এছাড়াও পশ্চিম গাজা শহরে একটি বাড়ি লক্ষ্য করে চালানো বিমান হামলায় নয়জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে চারজনই শিশু। আহত হয়েছেন আরো অনেকে।
এদিকে গাজা শহরে একটি বাড়িতে বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। শাজাইয়া এলাকায় আরো একটি বাড়িতে হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন, সেখানে আহত হওয়া অনেকের অবস্থা গুরুতর। গাজার পশ্চিমাংশে অবস্থিত আল-শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে একটি বাড়িতে চালানো বিমান হামলায় পাঁচ শিশুসহ নয়জন নিহত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক মহলের যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় নৃশংস গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
উল্লেখ্য, গাজায় সামরিক অভিযান চালানোর জন্য গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।