ছবি : সংগৃহীত
সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে এবং ধ্বংসস্তুপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষকে নিহত বলে ধরা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বর্বরোচিত হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরো অনেকে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোর থেকে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ভোর পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে জাজিরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় ত্রাণ প্রবেশে ইসরাইলের অবরোধের কারণে সেখানে আরো রোগব্যাধি এবং মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ছে। বর্তমানে গাজায় ১০ হাজারের বেশি মানুষকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরিয়ে নেয়া জরুরি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের গাজা আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ হাজার ৮৮৬ ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ১৫ হাজার ৮৭৫ জন আহত হয়েছেন। সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে এবং ধ্বংসস্তুপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষকে নিহত বলে ধরা হচ্ছে।
এদিকে বুধবার সকালে ইসরাইলের চ্যানেল ১২-এর এক প্রতিবেদনে নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জানানো হয়েছে, গাজা উপত্যকায় হামাসের কৌশলগত সুড়ঙ্গগুলোর মাত্র ২৫ শতাংশ এখন পর্যন্ত ধ্বংস করতে পেরেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ইসরাইলি নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর ধারণা- গাজা ও মিসরের মধ্যবর্তী এলাকায় বহু চোরাচালান সুড়ঙ্গ এখনো সক্রিয় রয়েছে। সেগুলোর বেশিভাগই এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
হামাসের কাছে অস্ত্র পৌঁছানোর আশঙ্কা এবং ফিলাডেলফি করিডোর থেকে ইসরাইলের পিছু হটার বিষয়ে জেরুসালেমের অনীহার প্রেক্ষাপটে এই তথ্য উঠে এসেছে। যদিও এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন যে করিডোরের নিয়ন্ত্রণ পেলেও ভূগর্ভস্থ চোরাচালান পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
প্রায় দেড় মাস আগে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ গভর্নিং সেন্টারে আঞ্চলিক পরিষদের প্রধানদের সাথে এক বৈঠকে বলেন, ফিলাডেলফি করিডোরকে লেবানন ও সিরিয়ার মতোই একটি ‘বাফার জোন’ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
চ্যানেল ১২ জানায়, কাটজ বলেছেন, ‘আমি নিজের চোখে ফিলাডেলফিতে প্রবেশ করে বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ দেখেছি। সেগুলোর কিছু বন্ধ এবং কিছু খোলা। আমরা এমন তথ্য পেয়েছি যে যুদ্ধবিরতির সময় হামাস আবারো হামলার পরিকল্পনা করছে, যার লক্ষ্য হবে আমাদের সৈন্য ও আবাসিক এলাকা।’