গাজায় জায়নবাদী ইসরাইলি হামলায় নিহত ৪৭ হাজার ৩০০ ছাড়িয়ে গেল


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ২৭, ২০২৫, ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ /
গাজায় জায়নবাদী ইসরাইলি হামলায় নিহত ৪৭ হাজার ৩০০ ছাড়িয়ে গেল

দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় পর চলতি মাসেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। তবে এরপরও বেড়েই চলেছে প্রাণহানি। মূলত ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে নিহতদের লাশ। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৭ হাজার ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে।

বার্তাসংস্থাটি আনাদোলু এজেন্সি প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বরতা ও গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৩০৬ জনে পৌঁছেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ১৪ জনের লাশ উদ্ধারের পর নিহতের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৩০০ ছাড়িয়ে যায়। গত ২৪ ঘন্টায় ইসরাইলি হামলায় ৫ জন নিহত। মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, হামলায় আরও ১১ জন আহত হয়েছেন। এতে করে ইসরায়েলি আক্রমণে আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৪৮৩ জনে পৌঁছৈছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের আপাতত অবসান ঘটলেও ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি আক্রমণে নিখোঁজ রয়েছেন ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছিল।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

এর পাশাপাশি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক মিসর ও জর্ডানে সরানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। ফিলিস্তিনিরা এই প্রস্তাবকে নিন্দা জানিয়ে এটিকে জাতিগত নিধনের প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছে। এই ঘটনাগুলো মধ্যপ্রাচ্যের সংকটকে আরও গভীর করে তুলছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি