গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো ৫৯ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার - ছবি : আল-জাজিরা
গাজার হাসপাতালগুলোতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬৩টি লাশ এসেছে। এর মধ্যে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫৯ ফিলিস্তিনির লাশ। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা জুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইল দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আহত অবস্থায় মারা গেছেন আরো দু’জন। এছাড়া ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৯ জনের লাশ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
টেলিগ্রামে প্রকাশিত বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নিয়ে ইসরাইলের হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৪১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, নিহত ও আহতের সংখ্যা আরো বেশি। এখনো অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় আটকা পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে না পারায় সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। দেশটির অব্যাহত এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।
জাতিসঙ্ঘের হিসাব মতে, গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসাথে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিসরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।
ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে
সূত্র : আল-জাজিরা