গাজার এক নিউটনের কাণ্ড!


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ২৪, ২০২৪, ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ /
গাজার এক নিউটনের কাণ্ড!

ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ, পানি, খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় আলো দেখিয়েছেন ১৫ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি কিশোর হুসাম আল-আত্তার। ‘গাজার নিউটন’খ্যাত এ কিশোর সাধারণ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে বাতাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সকলকে বিস্মিত করেছেন।

৭ অক্টোবরের ইসরাইলি হামলা শুরুর আগে হুসাম উত্তর গাজার জাবেল মুকাবের স্কুলের ছাত্র ছিলেন। বেইত লাহিয়া এলাকায় ছিল তাদের বাড়ি। হামলার পর পরিবারের সাথে পালিয়ে তিনি আল-নাসরে যান। সেখানে গৃহহীন অবস্থায় পরিবারকে দেখে হতাশ হন হুসাম। পরে তারা খান ইউনিসের কাছে চলে যান।

হুসাম বলেন, ‘আমার যমজ ভাগ্নেদের দিকে তাকিয়ে শুধু ভয় দেখতে পেলাম। তাঁবুর ভিতরে অন্ধকারে তারা নিজেদের একাকি মনে করত এবং ভয় পেত। তাই আমি ভেবেছিলাম তাদের জন্য আনন্দের জোগান দিতে এবং জায়গাটিতে আলোকিত করতে’।

হুসাম ঠাণ্ডা আবহাওয়া এবং বাতাস ব্যবহার করে বাতি জ্বালানো ও পাখা চালানোর মতো স্বল্প মাত্রার বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হন। পাওয়ার জেনারেটরের মাধ্যমে এসব বিদ্যুৎ তাঁবু আলোকিত করতে ব্যবহৃত হয়। ফলে তাঁবুর শিশুদের ক্লান্তি ও অসুস্থতা অনেকখানিই দূর হয়ে যায়।

হুসামের মা তার ছেলেকে নিয়ে গর্বিত। তিনি বলেন, ‘হুসাম ছোটবেলা থেকেই বেশ মেধাবী। হাতে পাওয়া সবকিছু খুলে তা দিয়ে কিছু বানাতে চেষ্টা করেছে। অপ্রয়োজনীয় ও ফালতু জিনিস দিয়ে সে ঘরের জন্য বেশকিছু প্রয়োজনীয় জিনিস তৈরি করেছে’। হুসামের মা তাকে ভবিষ্যতে একজন উদ্ভাবক হিসেবে দেখতে চান।

১৫ বছর বয়সী হুসাম বলেন, ‘আমি জীবনকে ভালোবাসি। আমি একজন উদ্ভাবক ও আবিষ্কারক হতে চাই। আমি আমার ফিলিস্তিনের মানুষদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি’। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।