ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আবারও ইসরায়েলি হামলার তাণ্ডব চলছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে বোমাবর্ষণ চালালে এক রাতেই নিহত হয়েছেন চার শতাধিক নিরীহ ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছেন। এই বর্বর হামলার পর জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত যুদ্ধবিরতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
গুতেরেস বুধবার (১৯ মার্চ) এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “আমি যুদ্ধবিরতি মেনে চলার, নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা পুনঃপ্রতিষ্ঠার এবং আটক বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির জন্য জোরালোভাবে আবেদন করছি।” তিনি আরও বলেন, গাজার পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, যা মানবতার জন্য হুমকি।
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের বহু দেশ এবং বিভিন্ন মানবিক সংস্থা। তারা একযোগে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করছে এবং দ্রুত হামলা বন্ধের দাবি জানাচ্ছে। তবে নিন্দার মধ্যেই ইসরায়েল নতুন করে বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। আল জাজিরার এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, গাজার খান ইউনিস শহরের পশ্চিমে একটি তাঁবুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক নারী ও তার শিশু নিহত হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
বিশ্ব সম্প্রদায় এখন ইসরায়েলের এই নিষ্ঠুরতা থামানোর জন্য কূটনৈতিক চাপ দিচ্ছে, তবে বাস্তবে এখনো নিরীহ ফিলিস্তিনিরা হামলার শিকার হচ্ছে। গাজার পরিস্থিতি চরম মানবিক সংকটের দিকে যাচ্ছে, যেখানে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসাসেবা চরমভাবে সীমিত।
এই অস্থির পরিস্থিতিতে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানালেও ইসরায়েল এখনো তার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব শক্তিগুলোর আরও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা জরুরি, যাতে গাজার নিরীহ মানুষের প্রাণহানি বন্ধ হয়। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা