জাতিসঙ্ঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস|ছবি - সংগৃহীত
জাতিসঙ্ঘ প্রধান জোর দিয়ে বলেন, ‘মানবিক বিরতির ফলে গুরুত্বপূর্ণ ত্রাণ প্রচেষ্টা ও পণবন্দীদের মুক্তি সম্ভব হয়েছে। সর্বোপরি, আমরা জানি যুদ্ধবিরতি কাজ করে।’
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয় সম্পর্কে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়ে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজা একটি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে এবং এর বেসামরিক নাগরিকরা অবিরাম মৃত্যুর চক্রে বন্দী। তিনি মানবিক সাহায্যের ওপর ইসরাইলের অবরোধের নিন্দা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় এক ফোঁটাও সাহায্য আসেনি। সেখানে খাবার নেই, জ্বালানি নেই, ওষুধ নেই, বাণিজ্যিক সরবরাহ নেই। সাহায্য কমে যাওয়ার সাথে সাথে, ভয়াবহতার বন্যার দ্বার আবারো খুলে গেছে। গাজা একটি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে এবং এর বেসামরিক নাগরিকরা অবিরাম মৃত্যুর চক্রে বন্দী।’
গুতেরেস জোর দিয়ে বলেন, ‘মানবিক বিরতির ফলে গুরুত্বপূর্ণ ত্রাণ প্রচেষ্টা ও পণবন্দীদের মুক্তি সম্ভব হয়েছে। সর্বোপরি, আমরা জানি যুদ্ধবিরতি কাজ করে।’
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বলেন, ‘দখলদার শক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ইসরাইলের দ্ব্যর্থহীন বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন।’
গুতেরেস ব্যাখ্যা করেছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ইসরাইলকে ত্রাণ পরিকল্পনায় সম্মত হতে হবে এবং গাজার বেসামরিক জনগণের কাছে সাহায্য পৌঁছানোর অনুমতি দিতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘কোনো মানবিক সরবরাহ গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। এদিকে ক্রসিং পয়েন্টগুরোতে, খাদ্য, ওষুধ ও আশ্রয়ের সরবরাহ জমে আছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম আটকে আছে।’
গুতেরেস গাজার মানবিক কর্মীদের ‘বীর’ আখ্যায়িত করে তাদের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। মানবিক কর্মীরা সহায়তা প্রদানের জন্য প্রতিনিয়ত তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাজায় কাজ করে চলেছেন।
মানবিক সহায়তা বিতরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের নতুন প্রস্তাব সম্পর্কে গুতেরেস বলেন, ‘কিন্তু ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের নতুন প্রস্তাবিত অনুমোদন প্রক্রিয়া সাহায্য বিতরণে আরো নিয়ন্ত্রণমূলক ও নির্মমভাবে সাহায্য সীমিত করার ঝুঁকি তৈরি করে।’
গুতেরেস বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই আমরা এমন কোনো ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করব না যা মানবতা, নিরপেক্ষতা, স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা- এই মানবিক নীতিগুলোকে সম্পূর্ণরূপে সম্মান করে না। গাজায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
সূত্র : আনাদোলু অ্যাজেন্সি