কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ গত ১৮ জুন যে ৪০০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছিল, সেগুলো আসল নয়। পরীক্ষাগারে পরীক্ষার পর এগুলো ভেজাল সার বলে প্রমাণিত হয়েছে। উপজেলার শমশেরনগরের সতিঝিরগ্রাম থেকে সার জব্দের পর এক ব্যক্তি নিজের সার বলে দাবি করলেও পরে আর যোগাযোগ করেননি।
তবে সার জব্দের সাত দিন পর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর জব্দকৃত সারের নমুনা ঢাকার গবেষণাগারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে সারগুলো ভেজাল হিসাবে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
টিএসপি সার জব্দের পর তিন জনকে আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনি খান। মামলায় ভানুগাছ বাজারের মেসার্স এবি এগ্রিকালচারের মালিক ইকবাল হোসেন, সতিঝিরগ্রামের শামসুল ইসলাম ও ফারুক আহমদ বাদশাহকে আসামি করা হয়। পরবর্তী সময়ে সারের নমুনা প্রেরণ করা হলে গবেষণাগার থেকে ভেজাল হিসাবে নির্ণয় করে পুলিশের কাছে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শমশেরনগর ফাঁড়ির এসআই সোহেল রানা বলেন, কৃষি বিভাগের জব্দকৃত ৪০০ বস্তা সার ভেজাল বলে জানা গেছে। তবে তদন্তে ভেজাল কারখানাসহ মূল হোতাদের বের করার চেষ্টা চলছে।
ইউরিয়া, ডিএপি ও টিএসপি সারের মধ্যে ভেজাল রয়েছে বলে খোদ কৃষকরাই অভিযোগ তুলেছেন। তাছাড়া বিভিন্ন চা-বাগান থেকে চোরাইপথে ভেজাল সার শমশেরনগরসহ বিভিন্ন বাজারে প্রবেশ করছে। এতে দামও বেশি আদায় করা হচ্ছে বলে কৃষকরা দাবি করছেন।
শমশেরনগরের হাসান এন্টারপ্রাইজের ডিলার মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, টিএসপিতে কিছুটা ভেজাল রয়েছে। আর চা-বাগান থেকে চোরাইপথে এসে বাজারে অনেক সার বিক্রি হয়। এগুলোও ভেজাল সার।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন, জব্দকৃত সারের বিষয়ে মামলা হয়েছে। এখন পুলিশের দায়িত্বে রয়েছে। বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আমরা সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যবেক্ষণসহ কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছি।