প্রধান উপাদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চীনের কিয়োংহাই বোয়াও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: নাজমুল ইসলাম ও হাইনান প্রদেশের ভাইস গভর্নর | পিআইডি
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। আগামীকাল বেইজিংয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এর সাথে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া, তিনি দেশটির মর্যাদাপূর্ণ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেবেন। সেখানে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়া হবে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী ‘দ্য বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫। দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলে অবস্থিত দেশটির হাইনান প্রদেশের কিয়োংহাই-এর পর্যটন শহর বোয়াওতে গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে এই সম্মেলন। শেষ হবে আগামীকাল শুক্রবার।
চীন সরকারের পাঠানো বিশেষ ফ্লাইটে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দেশটির হাইনান প্রদেশের বোয়াও এসে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা। আজ বৃহস্পতিবার তিনি সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। আগামীকাল শুক্রবার বেইজিংয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এর সাথে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া, তিনি দেশটির মর্যাদাপূর্ণ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেবেন। সেখানে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়া হবে। আগামী শনিবার প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরবেন।
বিশ্ব পরিবর্তনের মধ্যে এশিয়ার ভবিষ্যৎ গঠন- এই মূল প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চার দিনব্যাপী শুরু হওয়া এই সম্মেলনের তৃতীয় দিন যোগ দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চল থেকে প্রায় দুই হাজার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন। তবে, এবারের এই সম্মেলনে মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ তিনি জমকালো এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলনে মূল চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেগুলো হলো-সদস্য দেশগুলোর পরস্পরের মধ্যে আস্থা পুনর্গঠন ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, বিশ্বায়নের পুনঃসামঞ্জস্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উদ্ভাবনী উন্নয়ন। তবে, এ বছর সম্মেলনটি সদস্য দেশগুলোর উন্নয়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এজন্য দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় আলোচনাকে উৎসাহিত করছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বোয়াও ফোরামে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে বাংলাদেশে নির্মাণ, সেবা খাত ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরবেন। সম্মেলনে অংশ নেয়া বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বড় বড় বিনিয়োগে উৎসাহিত করবেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, বাংলাদেশকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে গড়ে তুলতে নানা ধরনের সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ জন্য দরকার বিদেশী বড় বিনিয়োগ। প্রধান উপদেষ্টার চলমান চীন সফরের সময় দেশটির বড় বড় প্রায় ২০০ ব্যবসায়ী/ উদ্যোক্তার সাথে নানাভাবে কথা বলবেন। তাদেরকে বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগের আহ্বান জানাবেন। বিনিয়োগকারীরা যাতে সহজেই এক প্লাটফর্ম থেকে সহযোগিতা পায় সে জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করার বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসন আমলে অর্থনৈতিক, সামরিকসহ প্রায় সব খাতেই ভারতনির্ভরতা ছিল। সেই নির্ভরতা থেকে ধারাবাহিকভাবে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। যার ফলে প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই সফরে দেশটির সাথে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার পাশাপাশি গুরুত্ব পাবে তিস্তা ইস্যুও।
ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সাত মাসের মধ্যে ড. ইউনূসের এই প্রথম চীনের প্রেসিডেন্টের সাথে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর হওয়াটাই একে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে। প্রধান উপদেষ্টার সফরটি ভূ-রাজনীতিতে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন গত রোববার গণমাধ্যমকে জানান, প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন চীন সফরে দেশটির সাথে কোনো চুক্তি সই হচ্ছে না। তবে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
বাংলাদেশে গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরের গন্তব্য বরাবরই ছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর হয় চীনে, গত জানুয়ারিতে।
জানা যায়, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও চীন স্বীকৃতি দেয় ১৯৭৫ সালে। এ বছরই দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ৫০ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে অধ্যাপক ইউনূসের সফর হবে একটি মাইলফলক।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম সম্প্রতি জানান, এ সফরের মধ্য দিয়ে দুদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
জট খুলতে পারে তিস্তা মহাপরিকল্পনার : বন্যা, খরা ও ভাঙনে দিশেহারা তিস্তা অববাহিকার লাখ লাখ বাসিন্দা। প্রতি বছর নদীটির অববাহিকায় এক লাখ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হলেও তা নিরসনে এতদিন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ সঙ্কট সমাধানের একমাত্র পথ তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন। এটি বাস্তবায়িত হলে বছরে ১১ হাজার ২৪০ কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি তিস্তাপাড়ের মানুষের জীবনমান বদলে যাবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন বিগত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার শাসনামলে ভারত তার চাহিদার সব কিছুই নিয়েছে বাংলাদেশ থেকে। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো ন্যায্য দাবিই পূরণ করেনি। এর অন্যতম হচ্ছে তিস্তার ন্যায্য পানি বণ্টন চুক্তি। এ ব্যাপারে চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয়েছিল ২০১২ সালে। কিন্তু তা স্বাক্ষর হয়নি। দীর্ঘদিন থেকে করবো করবো বলে আশ্বাসের মুলা ঝুলিয়ে রেখেছে ভারত। ভারতের সাথে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিটি ১৩ বছর ধরে ঝুলে আছে। শুকনো মৌসুমে তিস্তার অববাহিকতা মরুভূমিতে রূপ নেয়। অন্যদিকে, বন্যা বা আগাম বন্যার কারণে লাখো কৃষকের ফসল তলিয়ে নষ্ট হয়।
তিস্তাকে ঘিরে মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের সুকিয়ান সিটির আদলে তিস্তার দুই পাড়ে পরিকল্পিত স্যাটেলাইট শহর গড়ে তোলার কথা জানায় চীন। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী তিস্তা নদী খনন ও শাসন, ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা, আধুনিক কৃষি-সেচব্যবস্থা, মাছচাষ প্রকল্প, পর্যটনকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে ৭ থেকে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ফলে উত্তরের জেলা লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার আর্থিক সমৃদ্ধি হবে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন এগিয়ে এলেও ভারতের পক্ষ থেকে বাধা আসে। ফলে ঝুলে যায় এই উদ্যোগ।
জানা যায়, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঠিক এক মাস আগে গত ৮ জুলাই বেইজিং সফরে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ জুলাই সফর শেষ করার কথা থাকলেও একদিন আগেই দেশে ফেরেন তিনি। সফরে ২১টি সমঝোতা স্বাক্ষর সই হয়। ওই সফরের আগে ধারণা করা হচ্ছিল তিস্তা প্রকল্প, রোহিঙ্গা সমস্যা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সঙ্কট সমাধানের বিষয়ে চীনের ঋণ পেতে আলোচনা হবে। কিন্তু সফরের শেষে দু’দেশের দিক থেকে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয় সেখানে তিস্তা মহা-পরিকল্পনা নিয়ে কোনো কথা ছিল না। বাণিজ্য, বিনিয়োগ কিংবা অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীনের দিক থেকে বড় কোনো প্রতিশ্রুতিও দেখা যায়নি। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই সফরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জট খুলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম নয়া দিগন্তকে বলেন, এই সফরে আমাদের চাওয়া হচ্ছে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া। এটা আমাদের মূল লক্ষ্য। এ জন্য স্যার (ড. ইউনূস) চীনের বড় বড় ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করবেন। তাদের প্রতি স্যারের একটা মেসেজ যাবে যে, তোমাদের দেশে বড় বড় ফ্যাক্টরি আছে, তোমরা পারলে বাংলাদেশেও তোমাদের ফ্যাক্টরি স্থাপন করো। কেননা চীন থেকে অনেক দেশে এক্সপোর্টে কিছু রেস্ট্রিকশন ফেস করছে উদ্যোক্তারা। সেই রেস্ট্রিকশন বাংলাদেশে নেই। তারা যদি বাংলাদেশে ফ্যাক্টরি স্থাপন করে তাহলে অনেক দেশে তা রফতানি করতে পারবে।
প্রেসসচিব বলেন, ড. ইউনূস চাচ্ছেন বাংলাদেশে প্রচুর চাকরির সুযোগ তৈরি করতে। আর এটা করতে হলে প্রচুর ফ্যাক্টরি স্থাপন করতে হবে। তিনি বলেন, বোয়াও ফোরামের সাইডলাইনে বেইজিংয়ে একটি হাইটেক পার্কে ড. ইউনূস যাবেন। পিকিং ইউনিভার্সিটিতে তিনি কথা বলবেন। চায়নার অফিসিয়ালদের সাথেও কথা বলবেন।
প্রেসসচিব বলেন, ইতোমধ্যে চীনের অনেকেই বাংলাদেশে ইনভেস্ট করার আগ্রহ জানিয়েছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই প্রচুর চীনা বিনিয়োগ আসবে। এই সফর বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবে। আমরা এই সফরে বিনিয়োগটাকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের সম্পর্ক যাতে এই সফরের মাধ্যমে আরো সুদৃঢ় হয় সেটিও দেখছি।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের মানোন্নয়ন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার এই সফরে আলোচনা হবে জানিয়ে প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, চীন বাংলাদেশে একটি জেনারেল হাসপাতাল করে দেবে বলেছে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা চাচ্ছেন, চীনের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে এবং বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে হাসপাতাল তৈরি করে।
জানা যায়, চীনের প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকে বাংলাদেশের বিগত দিনের বিনিয়োগসহ সামগ্রিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। বিশেষ করে উচ্চ ব্যয়ের ঋণ কিভাবে সহজ শর্তে রূপান্তর করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি দু’ দেশের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক উন্নয়নে কিভাবে কাজ করা যায় সে বিষয়ে পর্যালোচনা হতে পারে।
এ দিকে, মঙ্গলবার বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া বার্ষিক সম্মেলনের গ্লোবাল ফ্রি ট্রেড পোর্ট ডেভেলপমেন্ট অধিবেশনে বক্তব্য রেখেছেন জাতিসঙ্ঘের সাবেক মহাসচিব ও ফোরামের চেয়ারম্যান বান কি মুন। তিনি মুক্ত বাণিজ্য বন্দরগুলোর (এফটিপি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন, যেগুলো বাণিজ্য মুক্তকরণের জন্য ‘ইনকিউবেটর’ হিসেবে কাজ করে। দুবাই, সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ের মতো উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, চীনের উচ্চ পর্যায়ের উন্মুক্তকরণের প্রতিশ্রুতি এশিয়া এবং বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। হাইনানকে একটি মুক্ত বাণিজ্য বন্দরে রূপান্তরের উদ্যোগকে তিনি ‘একটি সাহসী পদক্ষেপ যা দূরদর্শিতার প্রয়োজন’ বলে অভিহিত করেন।
গত সাত বছরের পরিবর্তনের ওপর আলোকপাত করে বান কি-মুন উল্লেখ করেন যে, হাইনান প্রাথমিকভাবে অবকাঠামো এবং ক্রান্তীয় কৃষির ওপর মনোযোগী ছিল, কিন্তু এখন এটি উচ্চ প্রযুক্তি শিল্পের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি পর্যবেক্ষণ করেন যে, এই প্রদেশটি বিশ্বব্যাপী প্রতিভা, মূলধন এবং সম্পদের জন্য একটি আকর্ষণীয় কেন্দ্র হয়ে উঠছে এবং এটি পর্যটন, শিপিং, লজিস্টিকস ও আর্থিক খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন যে, হাইনান মুক্ত বাণিজ্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্বায়নের প্রচারে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
আপনার মতামত লিখুন :