চুরির কোটি কোটি টাকা উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান ড. মুয়াম্মদ ইউনূসের


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : মার্চ ১০, ২০২৫, ৫:৫৫ অপরাহ্ণ /
চুরির কোটি কোটি টাকা উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান ড. মুয়াম্মদ ইউনূসের

সরকার এজন্য সহায়তা দিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও অন্যান্য উপায়ে দেশ থেকে চুরি হয়ে যাওয়া কোটি কোটি টাকা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টাকে আরো ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, সরকার এজন্য সহায়তা দিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে গঠিত ১১ সদস্যের টাস্কফোর্সের সাথে আজ সোমবার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, চুরি যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াকে আরো সহজতর করতে শিগগিরই একটি আইন প্রণয়ন করা হবে।

বর্তমানে সংসদ না থাকায় আইনটি কিভাবে প্রণয়ন করা হবে, জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, একটি নির্ধারিত পদ্ধতি হিসেবে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি করা হবে।

আজকের বৈঠকটি প্রায় ৯০ মিনিট স্থায়ী ছিল উল্লেখ করে শফিউল আলম বলেন, ‘এটা এক ধরনের মহাসড়ক ডাকাতি। এটি সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সরকার যেকোনো মূল্যে চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনতে চায়।’

প্রেস সচিব বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে প্রায় দুই শ’ আইন সংস্থার সাথে কথা বলেছে এবং প্রক্রিয়াটি সহজতর করার জন্য এটি ৩০টির সাথে চুক্তি করতে পারে।

শফিউল আলম বলেন, সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ১১টি বড় কোম্পানি ও ব্যক্তির বিষয়ে কাজ করছে। একজন ব্যক্তি টিউশন ফি বাবদ চার শ’ থেকে পাঁচ শ’ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন মর্মে উদাহরণ দেন প্রেস সচিব।

বৈঠকে অর্থ পাচারের বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার সিদ্ধান্ত হয়, কিভাবে এটি ঘটেছে এবং কোথায় গেছে তা জানার সিদ্ধান্ত হয়।

প্রধান উপদেষ্টা সভায় উপস্থিত সকলের কাছ থেকে আপডেট চেয়েছেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্থ ফেরত আনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

শফিউল আলম বলেন, প্রতি মাসে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং ঈদের পর পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর, আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সহকারী প্রেস সচিব সুস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : ইউএনবি