শাহবাজ শরিফের আমলে পাকিস্তানে মেয়েদের প্রতি ন্যূনতম সৌজন্যও দেখানো হচ্ছে না। নারী বিদ্বেষী পুলিশের বর্বরতা আর অসভ্যতার হাত থেকে রেহাই পাননি দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তিন বোন আলিমা খান, নওরিন নিয়াজি ও উজমা খান।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে আদিয়ালা জেল চত্বর থেকেই চুলের মুঠি ধরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশের ওই বর্বর আচরণের ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মহিলাদের প্রতি পুলিশের এমন আচরণ নিয়ে সরব হয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই আদিয়ালা জেলে বন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের প্রধান ইমরান খান। আদালতের তরফ থেকে সপ্তাহে একবার করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদিয়ালা জেল কর্তৃপক্ষ ওই নির্দেশ মানছে না বলে অভিযোগ পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের শীর্ষ নেতৃত্বের।
কারা কর্তৃপক্ষের গা-জোয়ারির প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার আদিয়ালা জেলের বাইরে ধর্মঘটে বসেন পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা। ওই ধর্নায় হাজির ছিলেন পিটিআই সুপ্রিমো ইমরান খানের তিন বোন আলিমা খান, নওরিন নিয়াজি ও উজমা খান। গভীর রাতে হিংস্র জানোয়ারের মতো তাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশ।
সমাজমাধ্যমে পিটিআইয়ের তরফে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নওরিন নিয়াজিকে ধরে বসে আছেন ইমরানের বাকি দুই বোন আলিমা ও উসমা। তাদের ঘিরে আছেন দলীয় কর্মীরা। নওরিন রীতিমতো কাঁপছেন। ভিডিওতে নওরিনকে বলতে শোনা যায়, ‘পুলিশ কর্মকর্তারা তার চুলের মুঠি ধরে টেনেহিঁচড়ে জোর করে মাটিতে ফেলে দিয়েছে। আমি কিছুই বুঝতে পারিনি। এখনো বুঝতে পারছি না, এখানে ঠিক কী ঘটেছে।’
শুধু ইমরান খানের তিন বোন নয়, খাইবার পাখতুনখোওয়ার স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মীনা খান আফ্রিদি, এম এন এ শাহিদ খট্টক এবং অন্যান্য মহিলা কর্মীদেরও পুলিশি নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।