চৌগাছায় চিকিৎসকের চরম ভুলে সিজারে প্রান গেল এক মায়ের


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : মার্চ ১৯, ২০২৫, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ /
চৌগাছায় চিকিৎসকের চরম ভুলে সিজারে প্রান গেল এক মায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক, (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছায় ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় সিজার হওয়া এক মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই মায়ের মৃত্যু হয়। তবে সুস্থ্য আছে সিজারে জন্ম নেয়া ছেলে শিশুটি। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।

নিহতের স্বজনরা জানায়, গত ৭ ফের্রুয়ারী সন্তান সম্ভাবা হাসনা হেনাকে (২৫) চৌগাছার মায়ের দোয়া ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। তিনি পৌরসভার বাকপাড়া মহল্লার তৌহিদুর রহমানের স্ত্রী। ওই রাতেই তাকে সিজার করেন ডাক্তার নাজমিন পারভিন রিমি এবং রোগাীকে অ জ্ঞান করেন ডাঃ আবু সায়েম। সিজারে অংশ নেয়া দুই জনই স্বামী স্ত্রী বলে জানা গেছে।

নিয়মনুযায়ী সিজার সম্পন্ন হয় এবং হাসনা হেনা পুত্র সন্তানের মা হন। এক সপ্তাহ ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে যথারীতি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রোগীকে ছাড়পত্র দেন, রোগী ফিরে যান বাড়িতে।

তবে সুস্থ্য না অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে ক্লিনিক থেকে বাড়িতে আনা হয় দা বি স্বজনদের। কিছু দিন যেতে না যেতেই মারাত্মক অসুস্থ্যবোধ করতে থাকেন সিজার হওয়া মা হাসনা হেনা। তাকে যশোর সদর হাসপাতাল এরপর ভর্তি করা হয় কুইন্স হাসপাতালে। সেখানে স্বাস্থ্যের কোনই উন্নতি না হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

অবশেষে (সোমবার) হাসনা হেনা দুই শিশু সন্তানকে এতিম করে চলে যান না ফেলার দেশে। মরহুমার স্বামী তৌহিদুর রহমান,স্বজন সাইফুল ইসলাম,খালেদুর রহমান, সজিব হোসেন বলেন,আমরা জানতে পেরেছি। সিজার করার সময় হাসনা হেনার একটি নাড়ি কাটা আর একটি ছিদ্র করে ফেলেছেন ওই ডাক্তার। পরে যেনতেন ভাবে ওই নাড়ি সেলাই করা হয়েছে। এরপর সেখানে ইনফেকশন হয়ে এই পরিণতি।

এ ব্যাপারে মায়ের দোয়া ক্লিনিকের যৌথ মালি কানার একজন মালিক আব্দুস সামাদ বলেন, আমরা চিকিৎসক নিয়ে এসে সিজার করায় এবং রোগীর নিকট থেকে নির্ধারিত একটি ফি নেয়া হয়। অপারেশনের পর রোগীর সেবা যত্নে কোনই ত্রুটি থাকে না যেমনটি হাসনা হেনার বেলাতেও হয়নি।

এ ব্যাপারে চিকিৎসক আবু সায়েম বলেন, স্বজন দের অভিযোগ সত্য নয়, অপারেশন সুন্দর ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। রোগী এক সপ্তাহ পর যথারিতী বাড়িতে গেছে। যদি নাড়ি কেটে ফেলা হতো তাহলে দেড় মাস কিন্তু তিনি সুস্থ্য থাকতে পারতেন না। এরপর কি কারণে তিনি অসুস্থ্য হয়েছেন তাও আম রা জানিনা। অসুস্থ্য হলে তারা আমাদের না জানিয়ে যশোর পরে ঢাকায় নিয়ে গেছে।

এ দিকে সোমবার দুপুরের পরপরই মরহুমা হাসনা হেনার মরাদেহ তার পিতৃলয় যশোর সদরের হৈবত পুর ইউনিয়নের বানিয়ালি গ্রামে পৌছালে সেখানে এক হৃদয় বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়। আসরের নামাজের পর নিজ গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।