জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল রহিম রাথের। বর্ষীয়ান ন্যাশনাল কনফারেন্স বিধায়ক আব্দুল রহিম রাথের সোমবার জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। প্রোটেম স্পিকার মুবারক গুল এদিন বিধানসভায় ঘোষণা করেন, জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল রহিম রাথের। বিধানসভায় এদিন প্রস্তাব পেশ হয় এবং তা পাশও হয়ে যায়।
অধ্যক্ষ নির্বাচিত হওয়ার পর আব্দুল রহিম রাথের-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ। ওমর বলেছেন, ‘বিধানসভায় উপস্থিত সকলের পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন। আপনাকে অধ্যক্ষ করার বিষয়ে কেউ আপত্তি জানায়নি। এখন আপনিই বিধানসভার অভিভাবক।’
টানা ৬ বছর পর সোমবার জম্মু- কাশ্মীরে বসল প্রথম অধিবেশন। আর সেখানেই উঠল সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা নিয়ে প্রসঙ্গ। তখনই বিধানসভায় তুমুল হই-হট্টগোল, অশান্তি শুরু হয়। জানা গিয়েছে, এদিন পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) বিধায়ক ওয়াহিদ পারা ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরোধিতা করে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন বিধানসভায়। আর তখনই শুরু হয় তুমুল হই-হট্টগোল।
সদ্য সরকার গঠন করেছে ন্যাশনাল কনফারেন্স। সোমবার ছিল প্রথম অধিবেশন। এদিনের অধিবেশনের শুরুতেই পিডিপি বিধায়ক ওয়াহিদ পারা ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরোধিতা করে একটি প্রস্তাব আনেন। আর তা তিনি স্পিকার আবদুল রহিম রাথারের কাছে পাঠান। এরপরেই জম্মু ও কাশ্মীরের ২৮ জন বিজেপি বিধায়ক এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। হই-হট্টগোল শুরু হয়।
বিধানসভার মধ্যে বিশৃঙ্খলা শুরু হতেই স্পিকার বারবার বিক্ষোভকারী সদস্যদের তাদের আসন গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিলেন। এরপরেই বিধানসভার মধ্যে নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে বিজেপি বিধায়ক শ্যাম লাল শর্মাকে সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ।
বলা বাহুল্য, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট লোকসভায় ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত পাস হয়। এর ৬ বছর বাদে কাশ্মীরে নির্বাচন হয়। ক্ষমতায় আসে এনসি-কংগ্রেস জোট। এদিন ছিল বিধানসভার প্রথম অধিবেশন। সেখানে আনা হয় ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত একটি প্রস্তাব। আর নিয়ে বিধানসভার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল উত্তেজনা। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।