জলোচ্ছাসে প্লাবিত সুন্দরবন, দুবলায় হরিণের মৃত্যু!  


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : মে ৩০, ২০২৫, ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ /
জলোচ্ছাসে প্লাবিত সুন্দরবন, দুবলায় হরিণের মৃত্যু!  

নিম্নচাপের প্রভাবে পানি বেড়েছে সুন্দরবনে। স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় আড়াই থেকে তিন ফুট উচ্চতার জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন। বৃহস্পতিবারে জোয়ারে সুন্দরবনের দুবলার চরে স্বাভাবিকের তুলনায় তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সুন্দরবনের করমজলে পানি বেড়েছে আড়াই ফুট। এতে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দুবলার চরে একটি মৃত হরিণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও সুন্দরবনের শেলারচর টহলফাঁড়ি এলাকায় বনকর্মীরা একটি হরিণ শাবক উদ্ধার।

সুন্দরবন দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, বুধবার থেকেই সাগর প্রচন্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে। বইছে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত। বৃহস্পতিবারের জোয়ারে দুবলার চরের সুন্দরবনে তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সুন্দরবনের মাছ ধরার জেলেরা নিরাপদে রয়েছেন বলেও জানান তিনি। এ সময় একটি মৃত হরিণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে পানিতে ডুবে হরিণের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়াও সুন্দরবনের শেলারচর টহলফাঁড়ি এলাকায় বনকর্মীরা একটি হরিণ শাবক উদ্ধার। সকাল ৯টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের শেলারচর টহলফাঁড়ি এলাকায় বনকর্মীরা একটি হরিণ শাবক পানির তোড়ে সাগরের দিকে ভেসে যেতে দেখেন। পরে তারা হরিণ শাবকটি উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুন্দরবনের নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করেন।

শলোরচর টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তা মোমিন শরীফ বলেন, “নিম্নচাপের প্রভাবে সুন্দরবনের নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানির উচ্চতা বেড়েছে। জোয়ারের পানিতে একটি হরিণ শাবক ভেসে যাচ্ছিল। আমরা সেটিকে উদ্ধারের পর সুস্থ করে বনে অবমুক্ত করেছি।”

করমজল বন্যপ্রাণী ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির বলেন, করমজলে স্বাভাবিকের তুলনায় আড়াই ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পর্যটন কেন্দ্রের পায়ে হাটার পথ তলিয়ে গেছে। তলিয়েছে সুন্দরবনও। তবে পানি বাড়লেও এখানকার বন্যপ্রাণীর তেমন কোন ক্ষতি হবে না। কারণ ঘন্টা দু’য়েক পর পানি নেমে যাবে। আর বন্যপ্রাণীর যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য বনের অভ্যন্তরের বিভিন্ন জায়গা উচু টিলা করা রয়েছে। পানি বাড়লে বন্যপ্রাণীরা সেখানে আশ্রয় নিয়ে থাকে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কুমার স্বস্তিক বলেন, নিম্নচাপে মোংলার পশুর নদীর পানি স্বাভাবিকের তুলনায় দুই ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ক্ষেত্র বিশেষ সুন্দরবনে পানি বেড়েছে আড়াই থেকে তিন ফুট।