জামায়াত ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের সেবক হতে চায়- মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুন ১১, ২০২৫, ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ /
জামায়াত ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের সেবক হতে চায়- মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান
  • ‘জামায়াত ক্ষমতায় গিয়ে রাজা নয় জনগণের সেবক হতে চায়। দেশের মানুষের খেদমত করাই হবে আমাদের উদ্দেশ্য।’ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও শিবিরের সাবেক সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, জামায়াত ক্ষমতায় গিয়ে রাজা নয় জনগণের সেবক হতে চায়। দেশের মানুষের খেদমত করাই হবে আমাদের উদ্দেশ্য। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে অনেকেরই পরিকল্পনা আওয়ামী স্টাইলে নির্বাচন করা। আওয়ামী স্টাইলে নির্বাচন হলে জুলাই যুদ্ধে মানুষের জীবন দেয়ার প্রয়োজন ছিল না। শুধু ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য মানুষ জীবন দেয় নাই। বাংলাদেশের মানুষ জীবন দিয়েছে আগামী দিনে একটি সুস্থ রাজনীতি উপহার দেয়ার জন্য। আর সুস্থ রাজনীতির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের কোন বিকল্প নাই।

মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জামায়াতের এক প্রীতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই দেশটা কারো বাবার দেশ নয়। এই দেশটা কারো পারিবারিক সম্পত্তি নয়। এই দেশ ১৮ কোটি মানুষের সম্পদ। এই দেশ কিভাবে পরিচালিত হবে তা দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে। জনগণ যাদের ভোট দেবে, তারাই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাবে।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ ইসলামের পক্ষে রায় দেবে। বাংলাদেশে আর কোন ফ্যাসিবাদ কায়েম হতে দেব না।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আমাদের যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয়, তাহলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আমরা বসবো না, ইসলামকে বসাবো ইনশাআল্লাহ। এটাই আমাদের অঙ্গীকার। আমরা দুর্নীতি মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত. চাঁদাবাজ মুক্ত ও দখলদার মুক্ত ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চাই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. আহসান হাবীব ইমরোজ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে টাংগাইল জেলার গৌরবোজ্জ্বল অবদান রয়েছে। প্রফেসর গোলাম আযম টাংগাইল সদর আসন থেকে নির্বাচন করেছেন। ধনবাড়ির নওয়াব আলী চৌধুরী প্রথম বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার দাবি জানিয়েছিলেন- পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে তা পরিণতি লাভ করে। ভারত বর্ষের প্রথম মুসলিম প্রিন্সিপাল ছিলেন ইসলামপন্থী টাংগাইলের ইব্রাহিম খাঁ। সুতরাং আমাদেরকে টাংগাইলের ৮ টি আসনেই ইসলামের বিজয় ছিনিয়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।

টাঙ্গাইল জেলা জামায়াত আয়োজিত প্রীতি সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য আহসান হাবিব মাসুদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের জামালপুর জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মাওলানা আব্দুস সাত্তার, নাটোরের জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ড. মীর নূরুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মো. হুমায়ুন কবির।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও টাংগাইল শহর সভাপতি মুহাম্মদ ময়েজ উদ্দিন, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি প্রফেসর ডা. রুহুল আমিন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাবীবুল্লাহ মুহাম্মদ ইকবাল,ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য এডভোকেট শাফিউল আলম, ডা. মুজাহিদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, শিবিরের জেলা সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।