আমার সুখের সংসার ভাঙার চেষ্টা করছে জায়েদ: ওমর সানীগত শুক্রবার রাজধানীর একটি কনভেনশন হলে ডিপজলের বড় ছেলে সৌমিকের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক ওমর সানী ও জায়েদ খানের মধ্যে এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ওমর সানী সবার সামনে হঠাৎ করেই জায়েদ খানকে চড় মারে। জায়েদ নাকি গত চার মাস ধরে মৌসুমীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। সেই জেরে জায়েদ খানকে চড় মারেন ওমর সানী। আর এতেই খেপে যান জায়েদ খান। পিস্তল বের করে গুলি করার হুমকি দেন ওমর সানীকে।
এ ঘটনায় জায়েদ খানের বিরুদ্ধে রোববার রাতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (বিএফডিসি) সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওমর সানী। অভিযোগে বলা হয়, ‘আমি ওমর সানি অত্র সমিতির একজন সদস্য এবং সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি। দীর্ঘ ৩২ বছর যাবৎ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আসছি।
কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, সমিতির সদস্য জায়েদ খান গত চার মাস যাবৎ আমার স্ত্রী আরিফা পারভীন জামান মৌসুমীকে নানাভাবে হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছে। আমার সুখের সংসার ভাঙার জন্য বিভিন্ন কৌশলে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে আসছে।’
‘এই ব্যাপারে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিয়ে বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তার প্রমাণ আমার এবং আমার ছেলের কাছেও আছে। তাছাড়া মুরব্বি হিসেবে আমি ডিপজল ভাইয়ের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করেছি। কিন্তু উক্ত বিষয়ের কোন সমাধান হয়নি।
ডিপজল ভাইয়ের ছেলের বিয়েতে জায়েদ খানের সাথে দেখা হলে এ বিষয়ে সংযত হওয়ার জন্য আমি অনুরোধ করি। এতে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং হঠাৎ করে তার পিস্তল বের করে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’
সবশেষে তিনি লেখেন, ‘অতএব, আমি মনে করি এমন একজন পিস্তলধারী সন্ত্রাসী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য থাকতে পারে না। উল্লিখিত বিষয়ে বিশেষভাবে বিবেচনাপূর্বক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।’
অভিযোগ জমা দেয়ার সময় শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান ওমর সানি।
অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ইলিয়াস কাঞ্চন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কোনো অভিযোগ এখনও হাতে পাইনি।’
এর আগে রোববার বিকেলে ওমর সানি জানান, জায়েদের নামে জিডি করার চিন্তা করছেন তিনি।
ওমর সানি বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনও ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেইনি। ভাই-ব্রাদারেরা আছেন। দেখি তারা কী সমাধান করেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’
এই অভিযোগের ভিত্তিতে জায়েদ খান বলেন, ‘পুরো ঘটনাটাই মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ বিষয়ে আপনারা চাইলে মৌসুমী আপার সঙ্গে কথা বলতে পারেন। নিশ্চয়ই তিনিও মিথ্যা বলবেন না। আমি আবারও বলছি, আমি কোনোদিন তাকে হেয়প্রতিপন্ন করিনি। এ সব ভুয়া কথা।
এখন সানী ভাই একটার পর একটা মিথ্যা গল্প বলছেন। কেন বলছেন তাও বুঝতে পারছি না।’
জায়েদ খান আরও বলেন, ‘এই তো ১৫ ২০ দিন আগেও একসঙ্গে ডিপজল ভাইসহ অন্যরা মিলে মিটিং করেছি। সেখানে তো মৌসুমী আপাও এসেছেন।
আমাদের অনেক কথাও হয়েছে। যদিও সম্পর্ক খারাপই তাহলে মিটিংয়ে নিশ্চয়ই একসঙ্গে থাকার কথা নয়। তাছাড়া শুটিং নিয়ে প্রায় সময়ই আমাদের কথা হয়েছে। শুধু শুটিং না, বিভিন্ন বিষয় নিয়েও কথা হয়।
তাই বলে এ নয়যে যাচ্ছে তাই বলে দিলেন সানি ভাই। এতে তো মৌসুমী আপারও বদনাম হচ্ছে। আমি বিষয়টা বুঝতেই পারছি না সানি ভাই কেন হঠাৎ এমন নাটক শুরু করলেন। এতে তো আমিসহ সব শিল্পীরই দুর্নাম হচ্ছে।’