নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা নদীতে নববধূ ও বরযাত্রীবাহী ট্রলারে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই ট্রলারে থাকা বর ও কনের গলায় চাপাতি ঠেকিয়ে নগদ টাকা-পয়সা, মোবাইল সেট ও স্বর্ণলাঙ্কারসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতদল।
সোমবার বিকেলে মেঘনা নদীর তীরবর্তী উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের প্রতাপেরচর ফ্রেশ সুগার মিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ডাকাতদের হামলায় ওই ট্রলারের ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের কয়েকজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধারের পর স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুরো মেঘনা নদী এলাকায় ডাকাত-আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চরগোয়ালদী গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী নূরে আলমের সাথে শুক্রবার মেঘনা থানার আবুল কাশেমের মেয়ে শারমিন আক্তারের আনুষ্ঠানিক বিয়ে সম্পন্ন হয়। সোমবার বরের আত্মীয়সহ ৩০-৩৫ জনের একটি দল কনের বাবার বাড়িতে আড়াইউল্লাহ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠান-শেষে বিকেলে নৌপথে মেঘনা নদীতে ট্রলারযোগে আসার পথে উপজেলার মেঘনা প্রতাপেরচর ফ্রেশ সুগার মিল এলাকায় ১০-১৫ জনের একটি ডাকাতদল পিস্তল, চাপাতি ও লোহার রড নিয়ে ওই ট্রলারে হানা দেয়। এ সময় ডাকাতদল ট্রলারে থাকা নববধূ ও বরের গলায় চাপাতি ঠেকিয়ে লোকজনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে।
আহতরা হলেন নূরে আলম, আব্দুল বাতেন, জুবায়ের, হাফেজ আহম্মদ, আবু ছালেহ, শাহ্ পরান, সেলিম, বিল্লাল, নাছরিন, নুরজাহান, খাদেজাসহ অন্তত ২০ জন। ডাকাতদল ট্রলারে থাকা বর-কনেসহ ট্রলারের লোকজনদের কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ এক লাখ টাকা, মোবাইল সেটসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মাদ হাফিজুর রহমান জানান, ‘ডাকাতির ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’