বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চলা সাতটি যুদ্ধ থামানোর কৃতিত্ব দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার সঙ্গে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে গাজায় শান্তিপ্রতিষ্ঠার দাবি। তাই নোবেল পুরস্কার তারই জেতা উচিত বলে দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তার বদলে নোবেল পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার রাজনীতিক মারিয়া কোরিনা মাচাদো।
আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছাপত্র (উইল) অনুসারে নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপকের নাম ঘোষণা করে থাকে নরওয়ের নোবেল কমিটি। পাঁচ জনের একটি কমিটি গত সোমবার (৬ অক্টোবর)-ই বেছে নিয়েছেন এ বার নোবেল শান্তি পুরস্কারবিজয়ীর নাম। নরওয়ের সরকার এর আগে বহু বার জানিয়েছে যে, নোবেলবিজয়ীর নাম বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোনও হাত নেই। কিন্তু পুরস্কার না পাওয়ায় ট্রাম্প নরওয়ের উপর শাস্তির খাঁড়া নামাতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন সে দেশের অনেকেই।
বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা চলছে নরওয়ের। চলতি সপ্তাহেই ওয়াশিংটনে গিয়ে আমেরিকার কয়েক জন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন নরওয়ের বাণিজ্যমন্ত্রী সিসিলি মিরসেথ। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা স্থগিত করে দিতে পারেন বলে মনে করছে নরওয়ে। তা ছাড়া কড়া শুল্ক আরোপের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকে।
নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ীকে যে পাঁচ সদস্যের কমিটি বেছে নিয়েছেন, তার প্রধান ইয়োর্গেন ওয়াটনে ফ্রিডনেস নরওয়ের একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, পশ্চিম এশিয়ায় শান্তিপ্রতিষ্ঠার জন্য কারও নাম আগামী বছরের পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হতে পারে। আসলে নোবেল পুরস্কারের জন্য গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে বসেছেন তার ঠিক ১১ দিন আগে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তার যুদ্ধ থামানোর যাবতীয় ‘কৃতিত্ব’ এ ক্ষেত্রে বিচার্য না হওয়ারই কথা।
এই প্রসঙ্গে অসলোর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর প্রধান নীনা গ্রেগের জানান, যুদ্ধ থামানোর পাশাপাশি ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে নিয়েছেন। তা ছাড়া বিভিন্ন বন্ধু দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সংঘাতে জড়িয়েছেন। নোবেলের ইচ্ছাপত্রে যে আদর্শের কথা বলা হয়েছে, এই কাজ সেগুলির সঙ্গে খাপ খায় না বলে জানান নীনা।