ঠাণ্ডায় থরথরি কম্পে যেন কাঁপছে সারাদেশ


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪, ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ /
ঠাণ্ডায় থরথরি কম্পে যেন কাঁপছে সারাদেশ

রাজধানীর সদরঘাট এলাকার ছবি :সংগৃহীত

                    বছরের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুরু, তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা মোটে ৮.৪ ডিগ্রি 

চলতি বছর প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ, একই সাথে পড়ছে ঘন কুয়াশা। গরম কাপড়ের অভাবে দেশের একটি অংশের মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে। ঠাণ্ডার কাঁপুনি থেকে রেহাই পেতে ঘরের মধ্যে খড়-কুটো জ্বালিয়ে শরীর গরমের চেষ্টা করতে হচ্ছে দরিদ্র ও নিরন্ন মানুষকে, তবু কমে না ঠাণ্ডা।

দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবন-যাত্রায় ছন্দপতন ঘটেছে হঠাৎ শুরু হওয়া প্রচণ্ড ঠাণ্ডায়। এতদিন যারা খুব ভোরে কাজে বের হয়ে যেতেন, বাধ্য না হলে তাদের অনেকেই দেরি করে কাজে যাচ্ছেন। সব বয়সী মানুষকে শীতে কাবু করলেও শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্টটা বেশি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে এই বয়সীদের। সে কারণে হাঁপানি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে এই বয়সীরাই বেশি ভুগছেন। ঠাণ্ডায় কিছু ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া নতুন করে কার্যকর হয় বলে অনেকেই ডায়রিয়া ও আমাশয়ে ভুগছেন বলে জানিয়েছেন মেডিসিনের চিকিৎসকরা।

কুয়াশা ভেজা ঠাণ্ডা পরিবেশে গতকাল সারা দিন দেশের বেশির ভাগ এলাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে দেশ। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে দেশের পঞ্চগড়, রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গা জেলায়। অবশ্য এসব জেলাগুলোর আশপাশের জেলাগুলোতেও প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বিরাজ করছে। গতকাল দেশে সবচেয়ে নিম্ন তাপমাত্রার এলাকা ছিল পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া। সেখানে গতকাল সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শৈত্যপ্রবাহ উল্লিখিত ৩ জেলায় অব্যাহত থাকতে পারে। একই সাথে প্রায় সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশাও অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চললেও চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের প্রায় সর্বত্রই ঠাণ্ডা পড়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ডিসেম্বরের এই সময়টায় প্রতি বছরই ঠাণ্ডা জেঁকে বসে। আগামী সোমবার থেকে শুরু হবে পৌষ মাস। এটা বলাই বাহুল্য যে, ঠাণ্ডা পড়েছে এটা আবহমানকালের নিয়মেই। তা ছাড়া এই সময়ে বাংলাদেশের ঊর্ধ্বাকাশে বয়ে যায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডার জেট বায়ু। বিমানের গতির সমান গতিতে চলে এই বায়ু। এই বায়ু শীতের এই সময়ে অপেক্ষাকৃত নিচে নেমে আসে।

এ কারণে বাংলাদেশের কিছু এলাকায় ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হয়ে থাকে। তা ছাড়া এই সময়ে উপ-মহাদেশের উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের কাছাকাছি চলে আসে। এটাও শীতের মাত্রা বাড়িয়ে থাকে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এই মূহূর্তে উপ-মহাদেশের উচ্চচাপ বলয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত এসেছে। সে কারণে পশ্চিমবঙ্গের কাছে বাংলাদেশের সীমান্ত জেলায় ঠাণ্ডা বেশি লাগে।

বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল এবং নদী আববাহিকা অঞ্চলে ঘন কুয়াশার কারণে যেমন সূর্যের আলো ফিকে হয়ে গেছে তেমনি ১০ গজ সামনে কী আছে তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। সামনের বস্তু স্পষ্ট দেখা যায় না বলে যানবাহনগুলোকে হেডবাল্ব জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে। দিনের বেলা মোটামোটিভাবে চলতে পারলেও রাতের বেলায় দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলোর গতি একেবারেই কমে যায়। সে কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে অনেক দেরি হয়ে যায়। কাজের গতিও কুয়াশার কারণে ধীর হয়ে যাচ্ছে। খেটে খাওয়া মানুষ কিংবা কৃষক দেরি করে ক্ষেতে নামতে বাধ্য হচ্ছেন।

গতকাল তেঁতুলিয়ায় ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিম্ন তাপমাত্রা থাকলেও রাজশাহীতে ছিল ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চুয়াডাঙ্গায় ছিল ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রাটা মোটামোটি সহনীয় হলেও ঢাকার পাশের টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে নিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১২.৫ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে গেছে।

আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরো কমে যেতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, দেশের উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। আবহাওয়া অফিসের হিসেবে এটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গত বৃহস্পতিবার এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হঠাৎ করে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটেখাওয়া মানুষগুলো।

সকালে তীব্র শীত উপেক্ষা করে পেটের তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে দিনে এনে দিনে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষদের। রয়েছে শীতবস্ত্রের তীব্র সঙ্কট। সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত খুব কমসংখ্যক শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে বেসরকারি পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

পঞ্চগড়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তেমন একটি কুয়াশা ছিল না। তবে উত্তর দিক থেকে আসা হিম বাতাসে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছিল। গতকাল শুক্রবার ভোররাত থেকে শুরু হয় ভারী কুয়াশা; যা অব্যাহত থাকে সকাল পর্যন্ত। তবে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কুয়াশা ভেদ করে পূর্ণরূপে দেখা দেয় সূর্য।

এরই মধ্যে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এরপর বেলা যত বেড়েছে, ততই বেড়েছে সূর্যের তাপ। দুপুরে প্রখর রোদে ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকাটাই দায় হয়ে পড়ে। বেলা ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়। তবে বিকেল হওয়ার সাথে সাথে কমতে থাকে রোদের তেজ। বাড়তে থাকে উত্তরের হিম বাতাস। অনুভূত হতে থাকে তীব্র শীত।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক জীতেন্দ্র নাথ রায় জানান, পঞ্চগড়ে শুক্রবার সকাল ৯টায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়; যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দুই হাজার শীতবস্ত্র ও নগদ ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বেসরকারিভাবে এ পর্যন্ত চার হাজারের মতো শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

এ দিকে আগের দিন গত বৃহস্পতিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শুক্রবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। ফলে রাজশাহীতে শীত আরো বেড়ে গেছে।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন গণমাধ্যমকে জানান, দিনের তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে অনুযায়ী শুক্রবার থেকে রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এটি ক’দিন থাকবে তা বলা যাচ্ছে না।

এ দিকে শীত বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ। ফলে নগরীর রাস্তাঘাটেও মানুষের চলাচল কিছুটা কম লক্ষ করা যাচ্ছে। ভোরে সূর্য উঠতে দেরি হওয়ায় কুয়াশার মধ্যে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।

শীতে জবুথবু হয়ে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, শীতে কাঁপছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গা। কনকনে ঠাণ্ডা আর হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু জনজীবন।

গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এবং সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।

আজও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে। দিন দিন তাপমাত্রা আরো কমবে। এমনটিই জানিয়েছে প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া অফিস, চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান।

বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ অঞ্চলের খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা গাছিরা। তারা জানিয়েছেন, রস থেকে গুড় ও পাটালি তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ গুড়ের হাটও জমে উঠতে শুরু করেছে। এ অঞ্চলের গুড় এবং নলেন পাটালির চাহিদা দেশব্যাপী। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসছে সরোজগঞ্জ গুড়ের হাটে।

এরই মাঝে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বাড়তে শুরু করেছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: রকিব সাদী জানিয়েছেন, এক সপ্তাহে প্রায় তিন হাজার রোগী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে শিশু আর বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি।

জানা যায়, শীতের সকালে গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে কাঁপতে কাঁপতে খেটেখাওয়া মানুষের ছুটে চলা; গাছ থেকে গাছিদের খেজুর রসের হাঁড়ি নামানো; সেই রস থেকে গুড়-পাটালি তৈরি; আর গৃহিণীদের কুমড়ো কলাইয়ের সুস্বাদু বড়ি বসানো- অগ্রহায়ণে এমন দৃশ্যের এখন দেখা মেলে চুয়াডাঙ্গায়। এ দিকে হঠাৎ করেই শীত জেঁকে বসায় জনজীবনে কিছুটা শীতের প্রভাব লক্ষ করা গেছে।

এ ছাড়াও চুয়াডাঙ্গার শপিংমলগুলো শুরু হয়েছে শীতের পোশাক কেনার ধুম। জমে উঠেছে দোকান ও আউটলেটগুলো। তবে ক্রেতারা বলছে গরম পোশাকের দাম হাতের নাগালের বাইরে।

গোয়ালন্দে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত। গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা জানান, সপ্তাহজুড়ে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ও এর আশপাশের উপজেলা ও জেলার জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এতে কৃষিকাজ, যানবাহন চলাচল, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের কর্মস্থলে যাতায়াত ও কাজে বিঘ্ন ঘটায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

গত সোমবার থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত প্রতি রাতেই ১০-১১টার পর থেকে কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত যত গভীর হয় কুয়াশার তীব্রতা তত বাড়তে থাকায় একটানা সকাল ৯-১০টা পর্যন্ত চার দিকে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে। এ সময় নদীতে আরো বেশি থাকায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি ও অন্যান্য যানবাহন পারাপার বন্ধ রাখা হয়। ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন চলাচলও কম থাকে।