আম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। আম স্বাদে-গন্ধে যেমন অতুলনীয়, তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরপুর একটি ফল। কাঁচা ও পাকা দুই ধরনের আমই শরীরের জন্য উপকারী। মৌসুমি এই ফলে পুষ্টিগুণ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই খেতে ভয় পান। আমে প্রাকৃতিকভাবেই চিনির পরিমাণ বেশি।
তাই এটি খেলে মানুষের শরীরের সুগারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তাই আম খাওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যেই ভয় বা বিভ্রান্তি কাজ করে। অনেকে ডায়াবেটিস রোগীদের আম খেতে নিষেধ করেন। কিন্তু আম ডায়াবেটিসের মাত্রা কতটা বৃদ্ধি করে, ডায়াবেটিসের রোগীরা আম কতটুকু খেতে পারবেন চলুন জেনে নেই।
ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে একটু বুদ্ধি করে আম খেতে হবে। সকালের নাশতায় আম খাওয়া হলে সেদিন দুপুরে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে হবে। শরীরে জমা অতিরিক্ত ক্যালরি যেন ঝরিয়ে ফেলা যায়।
একজন ডায়াবেটিস রোগী দৈনিক একটি ছোট আম বা অর্ধেক মাঝারি আম খেতে পারেন। আম বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ একটি ফল।
আমে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ ও ফাইবার। তাই উচ্চ কোলেস্টেরল আক্রান্ত রোগীরাও পরিমিত পরিমাণে আম খেতে পারবেন। ফাইভারের পরিমাণ বেশি থাকায় আম কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে দারুণ কার্যকর।
মানুষের শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘এ’-র চাহিদার প্রায় ২৫ শতাংশের জোগান দিতে পারে আম। ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্যেও খুব উপকারী। তাই দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে আম।
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও আম বেশ কার্যকর একটি ফল। আমে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। ফলে ত্বক থাকে সতেজ ও টানটান।
আমে আরও আছে ভিটামিন ই, যা ত্বক ও চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। আমে আছে কপার, যা রক্তে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
তাজা আম পটাশিয়ামের খুব ভালো একটি উৎস। আমে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি ও ফাইবার। তাই উচ্চ কোলেস্টেরল আক্রান্ত রোগীরাও পরিমিত পরিমাণে আম খেতে পারবেন।