ঢামেকে মারা গেল আরো দু’জন, কোটা বিরোধী আন্দোলন সহিংসতায় ২১১ জনের মৃত্যু-সংখ্যা বাড়ার আশংকা


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ২৭, ২০২৪, ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ /
ঢামেকে মারা গেল আরো দু’জন, কোটা বিরোধী আন্দোলন সহিংসতায় ২১১ জনের মৃত্যু-সংখ্যা বাড়ার আশংকা

রাজধানীতে কোটা বিরোধী আন্দোলনের সহিংসতার ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন – একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ ডালিম (২০) ও মাইন উদ্দিন (২৫)। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, যাত্রাবাড়ী এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় আহত হয়ে মাইনউদ্দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান ও শিক্ষার্থীর ডালিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরের দিকে মারা যায়। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ, পরবর্তী সময়ে সংঘাতে এ নিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে ২১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। মৃত্যুর এই হিসাব কিছু হাসপাতাল, লাশ নিয়ে আসা ব্যক্তি ও স্বজনদের সূত্রে পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, নিহত শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ ডালিম যশোর ঝিকরগাছা উপজেলার নওশের আলীর ছেলে। রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী এলাকায় একটি ম্যাচে থাকতেন তিনি। পাশাপাশি তেজগাঁও এলাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ছিলেন তিনি।

গত শুক্রবার রামপুরা এলাকায় সহিংসতার সময় ডালিম আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের জেনারেল আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান তিনি। এদিকে গত ২১ জুলাই যাত্রাবাড়ী রায়েরবাগ এলাকায় সহিংসতায় মাইনউদ্দিন আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে মারা যান তিনি। নিহত মাইনউদ্দিন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কামরুল ইসলামের ছেলে।

নিহত মাইন উদ্দিন বাবা কামরুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে ২১ জুলাই যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকায় এক বাসায় টিউশনিতে যায়। টিউশনি শেষ করে বাসায় ফেরার পথে তার গুলি লাগে। এরপর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

সংঘাতের ঘটনায় ৩২০ জনের চোখে অস্ত্রোপচার: কোটা বিরোধী আন্দোলনে সংঘাত সংঘর্ষের ঘটনায় চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ৪২৫ জন রোগী এসেছিলেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। এ ছাড়া আঘাত না পেলেও চোখে জটিলতা নিয়ে এসেছিলেন দেড় শতাধিক। তারা সংঘাতের সময় নানাভাবে আহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ৩২০ জনের চোখেই করতে হয়েছে অস্ত্রোপচার। কয়েকজনের চোখে একাধিক অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখনো ১৩ জন ভর্তি থেকে নিচ্ছেন চিকিৎসা। তাদের চোখের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের অধিকাংশের চোখে ছররা গুলির আঘাত লাগে।