সম্প্রতি ঘটে গেল দেশের ইতিহাসের সব চেয়ে এক ভয়াবহ হৃদয়বিদারক ঘটনা। যে ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো দেশের শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলকেই। বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুলের ক্লাস রুমে আছড়ে পড়ে নিহত হয়েছেন কোমলমতি ১০ বছর না পেরোনো শিশুরা। শরীর পুড়ে যাওয়ার ক্ষত বিক্ষত জ্বালা নিয়ে অনেকেই হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। আছড়ে পড়া সেই বিমানটি ছিলো চায়নার তৈরি এফটি-৭ বিজিআই।
বিমানটি চীনের তৈরি ছিলো এটি শুনেই কিছু আওয়ামী পন্থীর শরীর জ্বালা করা শুরু হয়ে গেছে। তারা আবার আওয়াজ তুলেছেন চীনের তৈরি বিমান বয়কটের। যা হবে চরম হাস্যকর এবং নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার মত অবস্থা। কারণ চায়নার তৈরি যুদ্ধবিমান কি করতে পারে তা পাক-ভারত যুদ্ধের সময়ই দেখেছে পুরো বিশ্ব।
চায়নার তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের জে-১০ সি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেই ভারতের, ফ্রান্সের তৈরি অপ্রতিরোধ্য রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তানী সেনারা। একটি নয় দুটি নয় তিন তিনটি রাফাল ভূপাতিত করে ওরা। শুধু কি রাফাল, এর পাশাপাশি ছিলো আরও বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী সে সময় চায়নার তৈরি এই যুদ্ধবিমান দিয়েই কমপক্ষে ৬ টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাক সেনারা।
শুধু কি পাক-ভারত যুদ্ধ? সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধেও ব্যবহার করা হয়েছে চায়নিজ প্রযুক্তির নানা অস্ত্র। এই যুদ্ধের পরই ইরানও চায়নার তৈরি জে-১০ সি যুদ্ধবিমান কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে। যা এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। বাংলাদেশে চায়নার তৈরি যে প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে এটি মূলত ১৯৬৬ সালের একটি মডেল। যে বিমানের উৎপাদন স্বয়ং চায়নিজরাই বন্ধ করে দিয়েছে সেই ২০১৩ সালে। বিমান বাহিনীর একটি সূত্র দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে এই বিমানটিও চায়নার কাছে কেনা হয় সেই ২০১৩ সালেই।
পুরোনো লক্কর-ঝক্কর বিমান কেনার জন্য দ্বায়ী তৎকালীন ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকার আর এর সাথে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তারা। আওয়ামী দোসররা যতই গলা ফাটাক চাইনিজ প্রযুক্তি বিশ্বে সেরা। চায়নার তৈরি যুদ্ধবিমানগুলো দখল করেছে বিশ্ব বাজার। বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী দেশও ব্যবহার করে চায়নিজ যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে যুদ্ধাস্ত্র। যে তালিকায় রয়েছে রাশিয়ার নামও। তাইতো বলাই যায়, ভরসা রাখতে হবে চায়নার তৈরি অত্যাধুনিক সব যুদ্ধবিমানে। আর বর্তমান সরকার ও বিমান বাহিনীকে উদ্যোগ নিতে হবে এসব লক্কর ঝক্কর পুরাতন যুদ্ধবিমান ব্যবহার বন্ধ করে অত্যাধুনিক সব চায়নিজ যুদ্ধবিমান আমদানিতে। এর আর একটা কথা বলবো তা শুনতে হবে, কথাটা- বিদ্ধস্ত হওয়া বিমানটি ওড়ার পর কেন সেটি উপরে উঠলো না এবং কি কারণে সেটি নিচের দিকে এলো? নিশ্চয়ই এর কারণ ছিল যা এখনি নিরপেক্ষ দতন্ত করে তা দেশবাসীর কাছে প্রকাশ করা। আর এ কাজটি করা হলেই সন্তান হারানো মা বাবার তথা স্বজনদের মন থেকে বেদনার বিষাদ দূরীভূত হবে বলে আমাদের সবারই বিশ্বাস।
আপনার মতামত লিখুন :