এই ঈদেও বিক্রি হলো না ত্রিশালের ৫০ মণ ওজনের ‘কালোমানিক’। এই ঈদে ঢাকার গাবতলী কালোমানিকের দাম উঠেছে ১৭ লাখ টাকা। গত বছর কোরবানির ঈদে কালোমানিকের দাম হয়েছিল ২০ লাখ টাকা। ষাঁড়টির মালিক জাকির হাসান সুমন জানান, ফ্রিজিয়ান জাতের কালো মানিককে গত পাঁচ বছর ধরে লালনপালন করে আসছেন তিনি। এর ওজন ৫০ মণ। তিনি আরো জানান, অত্যন্ত শান্তপ্রকৃতির ও কালো রঙের হওয়ায় আদর করে এর নাম রাখা হয়েছে ‘কালোমানিক’।
তিনি জানান, গত বছর কোরবানির ঈদে কালোমানিকের দাম হয়েছিল ২০ লাখ টাকা। ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বিক্রি হয়নি। তাই আরো এক বছর লালনপালন করে এ বছর কোরবানির ঈদে ৫০ মণ ওজনের কালোমানিকের দাম হাঁকিয়েছিলেন ৪০ লাখ টাকা। মালিকের দাবি, ময়মনসিংহ তথা দেশসেরা সবচেয়ে বড় গরু তার কালোমানিক।
পশু চিকিত্সক কামাল উদ্দিন জানান, কালোমানিককে গত পাঁচ বছর ধরে চিকিত্সা করে আসছি। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে ষাঁড়টি। ক্ষতিকর ও মোটাতাজাকরণের কোনো ওষুধ প্রয়োগ করা হয়নি। তাই ষাঁড়টির মাংসও সুস্বাদু হবে বলে তার দাবি।
উপজেলা পশু ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা. হারুন অর রশিদ জানান, আমার উপজেলায় এ কালোমানিক সবচেয়ে বড় ষাঁড়। এটি ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়। গত পাঁচ বছর ধরে খামারি এটি প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালনপালন করছেন।