দিনে শিক্ষক আর রাতে ডাকাতি করতেন মোক্তার হুসাইন ওরফে মোকা। প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় তিনি গ্রেফতার হলে বিষয়টি সামনে আসে। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার ও লুণ্ঠিত সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় পুলিশ।
চার ডাকাত হলেন- ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার শ্রীরাঙ্গাল গ্রামের আলিম শেখের ছেলে ও দ্য ন্যাশনাল ইসলামিক প্রি ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক মোক্তার হুসাইন ওরফে মোকা (৪৫), একই উপজেলার পূর্বসদরদী গ্রামের মান্নান শেখের ছেলে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি কিবরিয়া শেখ (৩৫), ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের পরিতোষ রায়ের ছেলে পার্থ রায় (৪২) ও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার চরবাহাড়া গ্রামের মৃত সেকের শেখের ছেলে শহিদুল ওরফে শহিদ (৪৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী গ্রামে দুই প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা করে ভুক্তভোগীরা। ডাকাতরা গৃহকর্তা ও নারীদের পাঁচজনকে কুপিয়ে আহত করে। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মূল পরিকল্পনাকারী মোক্তার ও কিবরিয়াকে গ্রেফতার করে। মোক্তার স্কুল পরিচালনার অন্তরালে এবং কিবরিয়া ইলেকট্রিক মিস্ত্রির অন্তরালে ডাকাতি করে আসছিল।
এদিকে গত ৩০ মে উপজেলার আলগি ইউনিয়নের শাহামুল্লুকদী গ্রামে একই রাতে দুই বাড়িতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করে। সেই মামলায় অপর আসামি শহিদুল ও পার্থ ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এদের তথ্যের ভিত্তিতে পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়।
ভাঙ্গা থানার এসআই মোশাররফ বলেন, পূর্ব সদরদী গ্রামে ক্যাডেট স্কুল পরিচালনাকারী মোক্তার ও ইলেকট্রিক মিস্ত্রি কিবরিয়া বিভিন্ন এলাকা থেকে ডাকাত দলকে হায়ার করে নিজেরাই ডাকাতি সংঘটিত করে।
তিনি আরও জানান, ডাকাতরা ভাঙ্গা অঞ্চলে প্রবেশের বিষয়টি গোপন সংবাদ পেয়েছিলাম। সেই আলোকে আমাদের পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। ডাকাত দল পাটখেতে লুকিয়ে থাকার কারণে ধরতে পারিনি। পরে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করেছি। অন্য ডাকাতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।