দেখামাত্র গুলির আদেশ প্রত্যাহারের আহবান জানালো যুক্তরাষ্ট্র


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ২৪, ২০২৪, ৬:১১ পূর্বাহ্ণ /
দেখামাত্র গুলির আদেশ প্রত্যাহারের আহবান জানালো যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে দেখামাত্র গুলির নির্দেশের নিন্দা জানিয়ে আদেশটি প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপত্র ম্যাথিউ মিলার গতকাল মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ সম্মলনে এ আহবান জানান।

সংবাদ সম্মেলন এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ পরিষেবার চলমান বিঘেœ আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, যা মার্কিন নাগরিকসহ বাংলাদেশের জনগণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার উপায়কে সীমিত করে দিয়েছে। আমরা সরকারকে ইন্টারনেট পরিষেবা পুনর্বহাল এবং দেখামাত্র গুলির নির্দেশ প্রত্যাহারের আহবান জানাচ্ছি।

ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন যে, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে গণহারে হত্যাকান্ড চলছে এবং দেশের নিরাপত্তাবাহিনীকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ যাবৎ মৃতের সংখ্যা কত হয়েছে, তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা যাচ্ছে না। দেশের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়ার ৬ষ্ঠতম দিন চলছে। একদিকে যেমন মৃতের সংখ্যা একশ’ পার হয়েছে, অন্যদিকে সরকার এই ছাত্রদের কন্ঠস্বর রুদ্ধ করে দেয়ার জন্য সুপ্রিমকোর্টকে ব্যবহার করছে। এটি একটি দুঃসহ পরিস্থিতি এবং আমি দেখেছি, অনেক কংগ্রেস সদস্য ও মানবাধিকার সংস্থা এই ছাত্র আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে এবং একাত্ম হওয়ার আহবানজানিয়েছে।

নোবেলবিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বংলাদেশের জনগণ এবং তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য জাতিসঙ্ঘ এবং মার্কিন নেতৃবৃন্দসহ বিশ্বনেতাদের প্রতি আহবাঁন জানিয়েছেন। এই বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী? 

মি. ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা উত্তেজনা হ্রাস এবং পরিস্থিতি শান্ত করার আহŸান জানাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশে সংঘটিত সকল প্রকারের সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছি এবং একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের প্রতি আমাদের জোরালো সমর্থন জানাচ্ছি। এছাড়া, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ পরিষেবার চলমান বিঘেœ আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, যা মার্কিন নাগরিকসহ বাংলাদেশের জনগণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার উপায়কে সীমিত করে দিয়েছে। আমরা সরকারকে ইন্টারনেট পরিষেবা পুনর্বহাল করার আহবাঁন জানাচ্ছি। আমরা দেখামাত্র গুলির নির্দেশের নিন্দা জানাচ্ছি এবং আদেশটি প্রত্যাহারের আহবান জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, আমি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে জোর দিয়ে বলতে চাই যে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেকোনো সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় ভিত্তি উপাদান। বিশ্বের যেকোনো স্থানের মতোই বাংলাদেশের সংবাদকর্মীদের জন্যও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারাটা অত্যাবশ্যক।