শহিদুল আলম ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম অবশেষে দেশে ফিরেছেন। শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রিয়জনদের মাঝে ফিরে আসায় বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে ছিল আবেগঘন পরিবেশ। ভোর ৫টার কিছুক্ষণ পর বাইরে আসেন শহিদুল আলম। গণমাধ্যমকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরলে তিনি শান্ত কণ্ঠে তার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি শেয়ার করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে শহিদুল আলম অংশ নিয়েছিলেন গ্লোবাল সামুদ ফ্লোটিলা মিশনে, যার লক্ষ্য ছিল অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। তিনি বলেন, গাজার মানুষ এখনো আক্রান্ত। তাদের ওপর নির্যাতন এখনো চলছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই অবরোধ ও নির্যাতন বন্ধ না হয়, আমাদের কাজ শেষ হবে না।
দেশে ফিরে শহিদুল আলম বলেন, আমি অনেক মানুষকে ধন্যবাদ জানাবো। বাংলাদেশি যারা সারা পৃথিবী থেকে সাড়া দিয়েছে, দোয়া করেছে, ভালোবাসা পাঠিয়েছে—তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
তার এই কথায় ফুটে ওঠে এক মানবিক কণ্ঠের শক্তি, যিনি ব্যক্তিগত কষ্টের চেয়ে বড় মানবিক উদ্দেশ্যকে অগ্রাধিকার দেন।
বিমানবন্দরে শহিদুল আলমকে বরণ করতে আসেন তার সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যরা। ফুলেল শুভেচ্ছায় তারা প্রকাশ করেন স্বস্তি ও গর্ব-একজন বাংলাদেশি মানবাধিকারকর্মীর সাহসী অবস্থানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। শহিদুল আলম শুধু একজন আলোকচিত্রী নন; তিনি মানবতার পক্ষে এক অবিরাম যাত্রার প্রতীক। গাজা, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট বা বাংলাদেশের সামাজিক আন্দোলন-সব ক্ষেত্রেই তার লেন্সে ফুটে উঠেছে সত্য ও প্রতিবাদের ভাষা।
ইসরায়েলে আটক হওয়ার পরও তিনি তাঁর নীতি থেকে সরেননি। দেশে ফিরে তার বক্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছে এক দৃঢ় সংকল্প-ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের জন্য সংগ্রাম থামবে না।