সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, কোর অব ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি সম্মানিত কোর। এই কোর দেশে এবং বিদেশে সর্বদা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলছে। বিদেশের মাটিতে রাস্তা নির্মাণ, কালভার্ট নির্মাণ, অবকাঠামো নির্মাণে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে এই কোর। দেশেও এই কোর কর্ম দক্ষতার নিদর্শন রেখে চলছে। বাংলাদেশে যত বড় বড় কাজ হয়েছে, অবকাঠামো থেকে শুরু করে ব্রিজ, কালভার্ট এই কোর নির্মাণ করেছে। এসব কাজ সেনাবাহিনীর মান-মর্যাদা বৃদ্ধি করে চলছে। কোর অব ইঞ্জিনিয়ারের কাজে আমরা সমস্ত সেনাবাহিনী গর্বিত।

দেশ ও জাতি গঠনে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স এর গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য তুলে ধরে তিনি দেশমাতৃকার সেবায় তাদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সততা, সত্যনিষ্ঠা ও কর্তব্যবোধে ব্রতী হয়ে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশগঠনে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স-এর প্রশংসনীয় ভূমিকা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। গতকাল সকালে নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসে ইঞ্জিনিয়ার সেন্টার অ্যান্ড স্কুল অব মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের নবম কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক অনুষ্ঠান এবং বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ৯ম কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে অভিসিক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে কোরের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন সেনাপ্রধান। এ সময় তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের সেনানীসহ সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে স্মরণ করেন।

অনুষ্ঠানে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড মহাপরিচালক, বিআইআইএসএস চিফ কনসালটেন্ট জেনারেল, অ্যাডহক কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল জিওসি ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, বগুড়া এরিয়া সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ কমান্ড্যান্ট, ইসিএসএমই, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের কমান্ডারবৃন্দ, ইঞ্জিনিয়ার ইউনিটসমূহের অধিনায়কবৃন্দ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।