‘দ্বীন কায়েমে মানুষের কাছে সঠিক দাওয়াত পৈৗঁছে দিন’-মিয়া গোলাম পরওয়ার


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ৯:৫৪ অপরাহ্ণ /
‘দ্বীন কায়েমে মানুষের কাছে সঠিক দাওয়াত পৈৗঁছে দিন’-মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, দ্বীন কায়েমের জন্য সর্বস্তরের মানুষের কাছে সঠিক দাওয়াত পৌঁছে দিতে দায়িত্বশীলদের ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে দেশ গঠনে জামায়াতের সকল স্তরের নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর আল ফারুক সোসাইটিতে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শূরার বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ও টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম ও প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, সর্বস্তরে মজবুত সংগঠন কায়েম করে সকল শ্রেণীর মানুষের মাঝে দ্বীনের সঠিক দাওয়াত কুরআন এবং সুন্নাহর নির্দেশনার আলোকে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে দ্বীনের সঠিক জিম্মাদারী পালন করতে হবে। কারণ আজকে নানা ষড়যন্ত্রের কারণে মানুষ ইসলাম হতে বিভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান থেকে মানুষ বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন এর মাধ্যমে যুব সমাজ পথ হারাচ্ছে। এমতাবস্থায় জামায়াতে ইসলামীর সকল ভাই-বোনদেরকে দাওয়াতী কাজে আরো বেশি আত্মনিয়োগ করে পথহারা মানুষকে সঠিক পথে নিয়ে আসার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ গঠনের মাধ্যমে ইসলামী কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই কুরআন এবং হাদিসের আলোকে নিজেদেরকে গঠনের পাশাপাশি পরিবার ও সমাজ গঠন করতে সৎ, যোগ্য ও দক্ষ মানুষ তৈরীর ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।

সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ইসলাম ফোবিয়ার পরেও দুনিয়াব্যাপী ইসলামের যে গনজাগরণ শুরু হয়েছে তাতে আমরা আশান্বিত। এতে আমরা উপলব্দি করছি যে, অচিরেই দুনিয়ার বিভিন্ন ভূখন্ডে ইসলামী খেলাফাত প্রতিষ্ঠা হবে। আমরা ও আমাদের দেশে সেই প্রত্যাশিত কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ভূমিকা রাখতে হবে।