ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর সারা দেশের আওয়ামী নেতাকর্মীদের ন্যায় সিলেটের প্রভাবশালী নেতারা পালিয়ে যান পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে। কলকাতা, শিলংসহ বিভিন্ন প্রদেশে এরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করছেন। এবার ভারতে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ প্রভাবশালী আরও ৩ নেতা।
গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা থেকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তিসহ আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় রাজ্যের শিলং পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন- সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল।
গত রোববার দুপুরের দিকে কলকাতার নিউটাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে কলকাতা পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে গ্রেফতার করে শিলং পুলিশ। এরপর রোববার রাতেই তাদেরকে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে আনা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও সিলেটের একাধিক সোর্সের মাধ্যমে জানা যায়, কলকাতার এই ফ্ল্যাট থেকে সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, যুবলীগ সভাপতি আলম খান মুক্তি, যুবলীগ সহ-সভাপতি রিপন ও যুবলীগ সদস্য জুয়েল ছাড়াও সুনামগঞ্জের এক ইউপি চেয়ারম্যানকেও গ্রেফতার করেছিল শিলং পুলিশ।
পরে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গির কবির নানক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অপসারিত এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল তাদেরকে ছাড়াতে তদবির শুরু করেন। এরপর মামলার এজহারে নাম না থাকায় সেই ইউপি চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেয়া হয়। অন্যদের মুক্ত করতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন নানক ও নাদেল।
জানা যায়, আওয়ামী লীগের নেতারা সিলেট থেকে পালিয়ে শিলংয়ে অবস্থান করার সময় তাদের আবাস স্থলে একটি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে শিলং থানায় ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হলেও আরো দুইজন আসামী পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিটু। কলকাতায় বসবাসরত সিলেট আওয়ামী লীগের একাধিক দলীয় নেতা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :