

নামাজ ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম। কোরআন-হাদিসে যেমন নামাজ আদায়ের বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে এবং তা আদায়ে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ঠিক তেমনি নামাজ ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে অনেক ধমকি ও শাস্তির কথা। সঠিক সময়ে নামাজ আদায়ের দ্বারা ব্যক্তি আল্লাহর নৈকট্যভাজন হয়।
আর অযথা অকারণে নামাজ ছেড়ে দিলে ব্যক্তি হয় আল্লাহর বিরাগভাজন। নিম্নে নামাজ আদায়ের কিছু ফজিলত ও অযথা ছেড়ে দেওয়ার কঠোরতা সম্পর্কে কয়েকটি হাদিস উপস্থাপন করা হলো—
উত্তমরূপে অজু করে নামাজ পড়ার ফজিলত
আমর ইবনে সাঈদ ইবনুল আতা (রা.) বলেন, আমি উসমান (রা.)-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় তিনি পানি আনার নির্দেশ দিলেন। তারপর বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি যে যখন কোনো ফরজ নামাজের ওয়াক্ত হয় আর মুসলিম ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে, নামাজে বিনয় ও রুকুকে
উত্তমরূপে আদায় করে; তাহলে যতক্ষণ না সে কোনো কবিরা গুনাহে লিপ্ত হবে এই নামাজ তার পূর্ববর্তী সব গুনাহের জন্য কাফফারা হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আর এ অবস্থা সর্বযুগেই বিদ্যমান। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৩৬)
একটি ঘটনা
আবু জর গিফারি (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) একবার শীতকালে বাইরে বের হলেন। তখন বৃক্ষ থেকে পাতা ঝরে পড়ছিল। তিনি একটি বৃক্ষের দুটি ডাল ধরে নাড়া দিলেন।
বর্ণনাকারী বলেন, তাতে বৃক্ষের পাতা আরো বেশি ঝরতে লাগল। আবু জর (রা.) বলেন, নবীজি তখন আমাকে ডাকলেন, হে আবু জর! আমি সাড়া দিয়ে বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি উপস্থিত! তিনি বলেন, নিশ্চয়ই মুসলমানরা যখন নামাজ পড়ে এবং তার দ্বারা উদ্দেশ্য হয় শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, তখন তার গুনাহসমূহ ঝরে যেতে থাকে, যেভাবে বৃক্ষ থেকে পাতাগুলো ঝরে পড়ছে।
(মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ৫৭৬)
নামাজ পরিত্যাগ করা কুফুরি
জাবির (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বান্দা ও কুফরের মধ্যে ব্যবধান হলো নামাজ পরিত্যাগ করা।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৬২০)
স্বেচ্ছায় নামাজ ছাড়লে আল্লাহর জিম্মা উঠে যায়
আবু দারদা (রা.) বলেন, আমার বন্ধু রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে অসিয়ত করেছেন যে আল্লাহর সঙ্গে কিছু শরিক করবে না, যদিও তোমাকে টুকরা টুকরা করা হয় কিংবা আগুনে ভস্মীভূত করা হয়। আর ইচ্ছাকৃতভাবে ফরজ নামাজ ছেড়ে দেবে না।
যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় তা ছেড়ে দেয়, তার থেকে আল্লাহর জিম্মা উঠে যায়। মদ পান করবে না। কেননা, তা সব পাপ কাজের মূল। (ইবনে মাজা, হাদিস : ৪০৩৪)
আপনার মতামত লিখুন :