স্টাফ রিপোর্টারঃ খ্রিস্ট ধর্ম ত্যাগের পর প্রথম স্ত্রীর উপর অত্যাচার-নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।থানা ও ইউনিয়ন পরিষদের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৪নং গদখালী ইউনিয়নের কামার পাড়া গ্রামের মৃত মাইকেল খিতিব বিশ্বাসের পুত্র লিবিয় বিশ্বাস (৪৫)র সাথে একই গ্রাম শিমুলিয়ার মৃত জোসেফের কন্যা লুসিয়া বিশ্বাস(৪০)'র ২৫ বছর সংসার জীবন।
কিন্তু ৫/৭ পুর্বে জানতে পারেন তার স্বামী লিবিয় বিশ্বাস (লুসিয়া বিশ্বাস)'র অজান্তেই ১৬-১৭ বছর আগে আরেকটি মুসলিম মেয়েকে বিবাহ করেছে।ভুক্তভোগীর অভিযোগ বিবরণীতে জানা গেছে, ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী ২৫ বছর পুর্বে বিবাহ হয়। তাদের সংসার জীবনে দুইটি সন্তান জন্ম গ্রহণ করে।এর মধ্যে ৮/১০বছর পুর্বে লুচিয়া বিশ্বাস ও তার স্বামী লিবিয় বিশ্বাস একত্রে হস্তশিল্পের ব্যবসা করে আসছিলেন।
এমতাবস্থায় সংসার জীবনে লুসিয়া বিশ্বাস লোখমুখে ৫/৭ মাস পুর্বে জানতে পারেন,তার স্বামী আরেকটি বিবাহ করেছে।বিষয়টি জানার পর তার স্বামী লিবিয় বিশ্বাসের কাছে বিবাহ করার কারণ জানতে চাওয়ায় সে তার স্ত্রী লুসিয়াকে মারপিট করে।শুধু এই নয় লিবিয় বিশ্বাস আরও একাধিক বার অহেতুক মারপিট করেছে।
যৌথ ব্যবসা করা কালে তার স্বামী সুকৌশলে বহু টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার কারণে লুসিয়া বিশ্বাস সিদ্ধান্ত নেয় তার স্বামীর সাথে আর একত্রে ব্যবসা করবেন না একা ব্যবসা করবেন।এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তার স্বামী ব্যবসাকর্মে বাধা সৃষ্টি ও তাকে প্রাণনাশের হুমকি সহ বাড়ি থেকে অন্য জায়গায় অপসারণ ও বিতাড়ন করার চেষ্টা করছেন।
অভিযোগে আরও জানা গেছে, লিবিয় বিশ্বাস খ্রিস্ট ধর্ম ত্যাগ কর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে অন্যত্র রয়েছেন, বিষয়টি এর মধ্যে লুসিয়া বিশ্বাস গোপন সুত্রে জানতে পেরেছেন।প্রথম স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে অন্যত্র বিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে জানার জন্য লিবিয় বিশ্বাসের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,'আমি এখন সাতক্ষীরাতে আছি'।
তার সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে চাইলে বলেন, সরাসরি সাক্ষাৎ তিনি করবেন না। ফোনে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি আরও জানান প্রথম স্ত্রীর নিকট থেকে নাকি তিনি মৌখিকভাবে বিবাহের অনুমতি নিয়েছেন। আপনি অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন?এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি স্বীকার করে আরও বলেন, কোর্ট এফিডেবিট আছে। তাহলে কি সরাসরি সাক্ষাৎ করবেন না? প্রশ্নের উত্তরে জানান, 'না'।
উক্ত ৪নং গদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব শাহাজান মোড়লের ফোন নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলেও চেয়ারম্যান মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।আরও জানা গেছে, তাদের সংসার জীবনে ৪ টি সন্তান জন্ম নেয়, দুটি সন্তান মারা যায় বর্তমানে দুটি সন্তান বেঁচে আছে।বড় কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন এবং আরেকটি সন্তান রয়েছে প্রতিবন্ধী।
লুচিয়া বিশ্বাস অভিযোগে জানিয়েছেন কোন ভরণপোষণ দেয় না তার স্বামী লিবিয় বিশ্বাস।এমতাবস্থায় হতভাগী লুসিয়া বিশ্বাস সুবিচারের আশায় ঝিকরগাছা থানায় এবং গদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট বিচার চেয়ে আবেদন করেছেন। কিন্তু চেয়ারম্যানের বিচার লিবিয় বিশ্বাস মানেনি।