নিম্নচাপের প্রভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ক্ষতিগ্রস্ত, হোটেল-রিসোর্ট লন্ডভন্ড!


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ২৯, ২০২৫, ১২:০৯ অপরাহ্ণ /
নিম্নচাপের প্রভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ক্ষতিগ্রস্ত, হোটেল-রিসোর্ট লন্ডভন্ড!

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সাগরের প্রবল জোয়ারে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত রোববার (২৭ জুলাই) থেকে সৃষ্ট উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে দ্বীপের উপকূলবর্তী এলাকায় অন্তত ১১টি হোটেল-রিসোর্ট এবং শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত দুই দিনে সাগরের ঢেউ যেন তাণ্ডব চালিয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় ১ থেকে ৩ ফুট বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হওয়ায় উপড়ে পড়েছে বহু গাছপালা, প্লাবিত হয়েছে লোকালয়।

ক্ষতিগ্রস্ত হোটেলগুলো হলো- হোটেল অবকাশ, নোনাজল বিচ রিসোর্ট, আটলান্টিক রিসোর্ট, বিচ ক্যাম্প রিসোর্ট, নিল হাওয়া বিচ রিসোর্ট, শান্তিনিকেতন বিচ রিসোর্ট, মেরিন বিচ রিসোর্ট, পাখি বাবা রিসোর্ট, সি-ভিউ রিসোর্ট, ড্রিমার্স প্যারাডাইস রিসোর্ট ও সানডে বিচ রিসোর্ট।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হওয়ায় দ্বীপের গাছপালা ভেঙে গেছে এবং শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। ঢেউয়ের আঘাতে ১১টির মতো হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উত্তরপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল আজিজ জানান, বিচ সংলগ্ন অধিকাংশ হোটেল জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি সরে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতি স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, সেন্ট মার্টিনের চারপাশ গত দুই দিনের জোয়ারে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। দ্বীপ রক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধ ছাড়া কোনো উপায় নেই।

কক্সবাজার ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির (ইয়েস) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক বলেন, যেসব হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই অনুমোদন ছাড়া গড়ে উঠেছে। কিছু হোটেলের বিরুদ্ধে বালিয়াড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে। প্রকৃতি নিজেই এর জবাব দিচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান বলেন, সেন্ট মার্টিনে জোয়ারের পানিতে কয়েকটি হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।