বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আপনারা যদি কোনো অপরাধীকে দেখেন তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিন। আমরা আইনের শাসনের জন্যেই একথা বলছি। যদি কেউ অপরাধী হয়ে থাকেন তার নামে মামলা করবেন, তবে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তির নামে মামলা করবেন না।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাগড়া ঈদগাহ ময়দানে বন্যার্তদের মাঝে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে উপহার-সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, অনেক সাধারণ মানুষ ছিলেন আওয়ামী লীগ, তাদের নামে মামলা করবেন না। যারা গুণ্ডামি করেছেন, যারা সন্ত্রাস করেছেন, যারা অসহায় মানুষের বাড়িঘর দখল করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা ব্যবস্থা নেবেন। তবে সেইটা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হতে হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামল ছিল নরকের। তিনি ছিলেন নরকের শাসক। এই শাসনের যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সে নিরিখে আমাদের কাজ করতে হবে। আইনের শাসন থাকলে শেখ হাসিনা হেরে যেতেন, তাই বিএনপিকে দমিয়ে রাখার জন্য যুবলীগ, ছাত্রলীগ থেকে পুলিশ বাহিনী বানিয়েছিলেন। তিনি জানেন ন্যায়ের শাসন থাকলে তিনি হেরে যাবেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক সাদ মোর্শেদ পাপ্পা সিকদার, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ভিপি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনির হোসেন পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল পাসা রাকিব সাংগঠনিক সম্পাদক সাহেদ পান্না, বুড়িচং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ অনেকে। পরে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দেড় হাজার বন্যার্তদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।