নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের পর্যায়ক্রমে অন্তর্বর্তী মেয়র দায়িত্ব প্রদান করুন


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুন ২, ২০২৫, ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ /
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের পর্যায়ক্রমে অন্তর্বর্তী মেয়র দায়িত্ব প্রদান করুন

জুলাই আন্দোলন পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার পরক্ষণেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র পদ নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিগত দু’নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মেয়র প্রার্থী বাংলাদেশ মেস সংঘের মহাসচিব মো. আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ। মেস সংঘের মহাসচিব মেয়র প্রার্থী আয়াতুল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি ডিএসসিসি’র অন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী একাধিক মেয়র প্রার্থীর সাথে মতবিনিময় করেছি। প্রায় সকল প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মেয়র প্রার্থী সহমত প্রকাশ করেছেন যে, দেশের প্রশাসনিক প্রাণ কেন্দ্র ডিএসসিসি’র পরিস্থিতিতিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন।

এ ক্ষেত্রে আগামী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বিগত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মেয়র প্রার্থীদের ঃ অন্তর্বর্তী মেয়র/ অতিরিক্ত মেয়র/ স্পেশাল মেয়র/ বিশেষ মেয়র অথবা অটো মেয়র পদে ভূষিত করে ডিএসসিসি’র মেয়রের রুটিন ওয়ার্কের দায়িত্ব পালনের প্রয়োনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত অপরিহার্য। কারণ গণতান্ত্রিক পদ মেয়র শূন্যতায় ডিএসসিসি’র নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। নগরবাসী ডিএসসিসিতে গিয়ে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত। ডিএসসিসি’র সেবায় নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও নাগরিক সেবা প্রদানে করতে গিয়ে মানসিকভাবে অজানা অসহনীয় অস্বস্তিকর ও পেরেসানিতে। ডিএসসিসি’র কার্যক্রম আরো সুদৃঢ় ও গতিশীল করা একান্ত পরিহার্য।

কারণ ডিএসসিসি’র আওতায় রয়েছে : মহামান্য রাষ্ট্রপতির বঙ্গভবন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, প্রশাসনিক প্রাণ কেন্দ্র সচিবালয়, পুলিশ হেডকোয়াটার, জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান কার্যালয়, ব্যাংক, বীমা, হাসপাতালসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও স্থাপন। কাজেই এটা নিয়ে তুচ্ছ- তাচ্ছিল্য সূলভ কোনো কার্যকলাপ করার অবকাশ নেই। এ দাবিতে ১ জুন রবিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মেস সংঘ (বিএমওর) উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

সংহতি প্রকাশ করেন নতুনধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, শহীদুন্নবী ডাবলুসহ অন্যান্য মেয়র প্রার্থীরা বক্তব্য রাখেন। অবস্থান কর্মসূচিতে মেস সংঘের সভাপতি হাবিবুর রহমান মনি সভাপতিত্ব করেন। এসময় ডিএসসিসি’র মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আয়াতুল্লাহ বলেন, ‘সংবিধান কোনো অপরিবর্তশীল দলিল নয়। সময়ের সাথে সামাঞ্জস্য রেখে সংবিধানের সংশোধনী আনায়ন অপরিহার্য। জুলাই বিপ্লবে দু’ হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা রক্তের বিনিময় প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কার্যক্রম সাধারণ মানুষ গ্রহণ করেছেন।

এখন আইন প্রণয়ের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদের কার্যক্রম অনুপস্থিত। রাষ্ট্রপতি জারিকৃত অধ্যাদেশই রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানে উপজীব্য বিষয়। মেয়র প্রার্থী আয়াতুল্লাহ আরো বলেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ইতোপূর্বে দায়িত্ব পালনকারী নগর পিতা বা মেয়র কোথায় গেছেন? কোথায় আছেন, হারিয়েছে গেছেন না পালিয়ে গেছেন, আয়নার ঘরে বন্দি অথবা অন্য কোথাও অবকাশ জীবন- যাপন করছেন তা নিয়ে দেশবাসী নানা ধরণের অভিব্যাক্তি জ্ঞাপন করছে। যার প্রেক্ষাপটে অন্যান্য মেয়র প্রার্থীরা জনগণের কাছে চরম বিভ্রান্তি ও বিভ্রতকর প্রশ্নের অবর্তীন হন।

এহেন পরিস্থিতিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করে শূন্য হওয়া মেয়র পদ বিগত নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে নগর পিতার বা মেয়রের দায়িত্ব প্রদান করা সমীচিন বলে অভিমত জ্ঞাপন করেছেন। তা হলে দেশবাসী নগর পিতা- মেয়র শূন্যতা থেকে পরিত্রাণ পাবেন। অবস্থান কর্মসূচিতে ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মেস সংঘ (বিএমওর) ঐতিহৃবাহী ১৩ দফা দাবির লিফলেটও বিতরণ করা হয়।