নেই ব্রীজ, ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বাঁশের সাঁকো পার


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ১৬, ২০২৪, ১০:৪৯ অপরাহ্ণ /
নেই ব্রীজ, ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বাঁশের সাঁকো পার

পাইকগাছা প্রতিনিধি: খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালীর উত্তর গড়ের আবাদের দুই হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা নৌরনদীর উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার। এ সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন ওই গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পারাপার করছে। ফলে স্থানীয় সরদার বাড়ি জামে মসজিদের সামনের সাঁকোটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ সাঁকো দিয়েই পূর্ব গজালিয়ার ইটের রাস্তা হয়ে উপজেলার মানুষ প্রত্যন্ত এলাকায় যাতায়াত করেন।

ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পারাপারে বর্তমানে জনমানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। বিশেষ করে চলতি বর্ষা মৌসুমে গ্রামের অনেক গাড়িচালক, মোটরভ্যান, নসিমন, করিমন, পাঁকা রাস্তার উপর ফেলে রেখে অথবা অপর প্রান্তের অন্যের বাড়িতে রেখেই বাড়িতে ফিরতে হয়।

স্থানীয়রা জানান, উত্তর গড়ের আবাদের আয়তন প্রায় ৫ কিলোমিটার। গ্রামটিতে প্রায় দু’হাজারেরও বেশি মানুষের বসতি। অথচ সেখানে নেই কোনো সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চারটি মসজিদ, দুটি ঈদগাহ ও দুটি কওমী মহিলা মাদরাসার অবস্থান সেখানে।

প্রতিদিন সহজ পথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌরনদীর উপর নির্মিত মরণফাঁদ পার হয়ে সেখানকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পূর্ব গজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠ নিতে যায়। শুষ্ক মৌসুমে শিক্ষার্থীদের অনেকে বাদুড়িয়া ব্রিজ হয়ে অথবা চৌহমুনি বাজার ঘুরে ১-২ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে স্কুলে যাতায়াত করে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েক বছর আগে প্রথমে গ্রামের মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় মসজিদের সামনে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এর ২-৩ বছরের মধ্যে সাঁকোটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় স্থানীয়দের ভোগান্তীর আর অন্ত থাকে না। এরপর চাঁদখালীর তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান জোয়াদুর রসুল বাবুর সময় সরকারি বরাদ্দে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আককাজ ঢালী কিছু পাকা পিলার ও কাঠ দিয়ে ফের সেখানে একটি সাঁকো নির্মাণ করেন। তাও পরবর্তী তিন বছরে নষ্ট হয়ে যায়।

ঠিক এমন পরিস্থিতিতে ফের দায়িত্ব বর্তায় স্থানীয় গ্রামবাসীর কাঁধে। তারা কোনো রকম সাঁকোটির সংস্কার করে যাতায়াত ব্যবস্থা চালু রাখলেও বর্তমানে তা চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা কাশেম সরদার বলছিলেন, গ্রামবাসীদের ঐকান্তিক সহযোগিতায় একাধিকবার সাঁকোটির নির্মাণ ও সংস্কার হলেও দীর্ঘদিন তদারকির অভাবে বাঁশগুলো পানিতে পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। এ সময় তিনি গুরুত্ব বিবেচনায় নৌরনদীর উপর সরকারিভাবে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি করেন।

স্থানীয় ইউপি ওয়ার্ড নজরুল সরদার বলেন, তিনি বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন। তবে এ মুহূর্তে পরিষদের তেমন কোনো বরাদ্দ না থাকায় তিনি কিছুই করতে পারছেন না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলা যাবে কিভাবে সমাধান করা যায়।