নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জাগলার চর দখলকে কেন্দ্র করে দু'গ্রুপের গোলাগুলিতে ৫জন নিহত হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের আহত হয়েছে অসংখ্য। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত একজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। দূর্গম এলাকা হওয়ায় অপর লাশগুলো বুধবার জেলা সদরের মর্গে আনা হবে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সামছুদ্দিন ও আলা উদ্দিন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।নিহত ও আহতদের উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
নিহতরা হচ্ছে, সামছুদ্দিন ওরফে কোপা সামছু গ্রুপের সামছুদ্দিন, তার ছেলে মোবারক হোসেন ও আলা উদ্দিন গ্রুপের আলা উদ্দিন'সহ ৫জন। এর মধ্যে আলা উদ্দিনের মৃতদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, জাগলার চরে বর্তমানে কয়েক শত ভূমিহীন পরিবার বসবাস করছে। চরের অর্ধেক জমি খাস এবং অর্ধেক ব্যক্তি মালিকানা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সামছুদ্দিন চরের জমি দখল করে প্রতি একর ২২ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা করে ভূমিহীনদের কাছে বিক্রি করে।
কিন্তু গত কিছুদিন বিক্রির টাকা মুশফিক ও ফরিদ কামন্ডারকে দিচ্ছে না। তারই জের ধরে মুশফিক ও ফরিদের হয়ে মঙ্গলবার সকালে আলা উদ্দিন, শীর্ষ ডাকাত কাউয়া কামাল, নিজাম মেম্বার এর নেতৃত্বে ২০-২৫জন অস্ত্রধারী চর দখলে যায়। এক পর্যায়ে চরে থাকা সামছুদ্দিনের লোকজনের সঙ্গে তাদের গোলাগুলি শুরু হয়। এতে আলা উদ্দিনসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। যার মধ্যে ৫জন নিহত হয়। বিকালে আলা উদ্দিনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম জানান, এ পর্যন্ত এ ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছে। আমরা মৃতদেহ গুলো উদ্ধার করেছি।