পরমাণু আলোচনায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ‘গ্যারান্টি’র দাবি জানিয়েছে ইরান


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুন ২, ২০২৫, ১০:০৯ অপরাহ্ণ /
পরমাণু আলোচনায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ‘গ্যারান্টি’র দাবি জানিয়েছে ইরান

ইরান সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে চলমান আলোচনায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে এমন একটি আনুষ্ঠানিক ‘নিশ্চয়তা’ দিতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ইরান সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে চলমান আলোচনায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে এমন একটি আনুষ্ঠানিক ‘নিশ্চয়তা’ দিতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত, মার্কিন পক্ষ এই বিষয়টি এখনো স্পষ্ট করতে চায়নি।’

জাতিসংঘ সংস্থার এক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের উৎপাদন ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। যা পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় ৯০ শতাংশ স্তরের কাছাকাছি। তার এই মন্তব্যের একদিন পর ইসমাইল বাঘাই এমন মন্তব্য করেছেন। পরমাণু আলোচনায় মার্কিন দূত গত মাসে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যেকোনো সমৃদ্ধকরণের বিরোধিতা করবে।

স্টিভ উইটকফ ব্রেইটবার্ট নিউজকে বলেন, ‘ইরান রাজ্যে আর কখনও সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চলতে পারে না। এটাই আমাদের লাল রেখা। কোনো সমৃদ্ধকরণ নয়।’ ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ‘চুক্তি হোক বা না হোক’ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম শনিবার জানিয়েছে, ইরানের কাছে পরমাণু চুক্তির জন্য একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস এটিকে ‘গ্রহণযোগ্য’ এবং ‘সর্বোত্তম স্বার্থে’ গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে।কূটনৈতিক আদান-প্রদানের সাথে পরিচিত কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ জানিয়েছে, প্রস্তাবটিতে ইরানকে সমস্ত সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং পরমাণু শক্তি উৎপাদনের জন্য একটি আঞ্চলিক গোষ্ঠী তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

২০১৮ সালে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে যে চুক্তি পরিত্যাগ করেছিলেন, তা বহাল রাখার জন্য একটি নতুন চুক্তির সন্ধানে ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পাঁচ দফা আলোচনা করেছে।