অধিকৃত কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনার হামলা নিয়ে সাধারণ পাকিস্তানিদের সতর্ক করে দিতে ইতিমধ্যই রাওয়ালপিন্ডি-সহ একাধিক শহরে বসানো হয়েছে সাইরেন। সেই সঙ্গে সাধারণ পাকিস্তানিদের হামলায় আহতদের কীভাবে প্রাথমিক শুশ্রুষা দেয়া হবে তার প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। বিশেষ করে অল্পবয়সী মেয়েদের ওই প্রশিক্ষণ দেওয়া চলছে। শুধুমাত্র রাওয়ালপিন্ডিতেই ইতিমধ্যে সাড়ে তিন হাজার জনকে ওই প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বেসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের দক্ষ কর্মী-কর্মকর্তারা।
রাওয়ালপিন্ডি শহরেই রয়েছে সেনার সদর ঘাঁটি। ফলে ভারতীয় সেনাদের হামলার প্রধান লক্ষ্য রাওয়ালপিন্ডি হতে পারে বলে ধরে নিয়েছে প্রশাসন। যে কারণে শহরে ১৬টি সাইরেন বসানো হয়েছে। মূল সাইরেন বসেছে বেসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের কার্যালয়ে। পাশাপাশি ৩৮টি বিশেষ রেসকিউ বা উদ্ধার কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
শনিবার (৩ মে) রাওয়ালপিন্ডি ক্যান্টনমেন্ট থানা, রাজাবাজারের মিশন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল ও অসামরিক প্রতিক্ষা দফতরের কার্যালয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির চালু হয়েছে। রবিবার ডেনি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলেও রেসকিউ কেন্দ্র চালু করা হবে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের জেলা কর্মকর্তা তালিব হোসেন জানিয়েছেন, এই প্রথম মেয়েদের কমব্যাট রেসকিউ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যারা প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন, তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাইরেন শোনার সঙ্গে সঙ্গেই কালবিলম্ব না করে সংশ্লিষ্ট রেসকিউ সেন্টারে যেন হাজির হন।
শুধু রাওয়ালপিন্ডিই নয়, সীমান্ত লাগোয়া খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ২৯ জেলাতেও জরুরি ভিত্তিতে ৫০টি যুদ্ধকালীন সাইরেন বসানো হয়েছে। প্রতিটি সাইরেনের শব্দ ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের এক কর্মকর্তা। পেশোয়ার, ডেরা ইসমাইল খান, অ্যাবোটাবাদ, সোয়েট, মারডান, উত্তর ও দক্ষণ ওয়াজিরিস্তানে ওই যুদ্ধকালীন সাইরেন বসানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।