বস্ত্র ও পাট এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন,পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক হলে পাটের কোনো সংকট হবে না। সেক্ষেত্রে যদি পাট না পাওয়া যায় প্রয়োজনে রপ্তানি বন্ধ করা হবে।
গতকাল রোববার পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’এর বাস্তবায়নে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বৈঠকে নভেম্বরের পর থেকে পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রতিটি খাতের ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। আগামী মাস থেকে পাটের ব্যাগ নিশ্চিত করতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয় বৈঠকে।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইমিডিয়েটলি আমরা কোনো খাতকে চেপে ধরছি না। সবাইকে সময় দিয়েছি। আপনারা পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করুন, কোনো সমস্যা হলে খাত ধরে ধরে সমাধান করে দেবো।
তিনি বলেন, এতোদিন ব্যবসায়ীরা পাটকে বন্ধ করে প্লাস্টিকের কারখানা করেছে। সেটা আর হবে না। পাটকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের ব্যাগ রাখার অভ্যাস হয়ে যাবে। আর ৩২ টাকা ব্যাগের দাম নিয়ে অনেকে কথা বলছেন, ওই ব্যাগ বারবার ব্যবহার করা যাবে।এ অভ্যাস বাংলাদেশের মানুষের আগেও ছিল।
এখন আবারও সেটা হবে। এ সময় উপদেষ্টা জানান, পাটকে জিআই করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে গোল্ডেন ফাইবার অব বাংলাদেশ’ নামে পাটের জিআই হবে। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, অনেকে বলছেন, পাটের ব্যাগ বাধ্যতামূলক হলে ব্যাগ পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমি বলি, আগে পলিথিনের ব্যাগ সরাবো, তারপর নিজের উদ্যোগে কিছু একটা বাজারে আনবেন ব্যবসায়ীরা। না হলে কখনও এটা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, এই আইন সবাইকে মানতেই হবে। কার্যকর একটা আইন রয়েছে কিন্তু আপনারা সবাই এটাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাবেন সেটা হবে না। যার সমস্যা হবে সেটা ধরে এগোবো। ওই বৈঠকে জুট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা বলেন, ব্যাগ ও বস্তা দেওয়ার জন্য দেশের ৩০০ উৎপাদনকারী প্রস্তুত আছে। ব্যাগ বা বস্তা সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না।