অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে অভিন্ন নদীগুলো রয়েছে সেগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশকে দিতে ভারত বাধ্য। পানি না দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে ভারতকে রাজনৈতিক, সামাজিকভাবে চাপ দিতে হবে।
আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি, বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘উজানে যৌথ নদীর পানি প্রত্যাহার: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইউরোপে দানীয়ব নদী আছে, যেটা জার্মানি থেকে শুরু হয়েছে এবং নেদারল্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়েছে। সেগুলোয় জাহাজ চলছে। নিজেদের মধ্যে পলিটিকাল ইস্যু থাকতে পারে কিন্তু নদীর পানির হিস্যা নীতি ছিল। ভারতের কোনো যুক্তিই নেই আমাদেরকে পানি না দেওয়ার। এটা নিয়ে চাপ দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারতে যখন পানির চাপ থাকে তখন আমাদের এখানে সুইজ গেইট গুলো খুলে দেয়। আবার ওদের এখানে যখন পানি স্বল্পতা থাকে তখন সুইজ গেইট গুলো বন্ধ করে দেয়। তারা এটা ইচ্ছামত করছে, সেজন্য আমরা পানি পাচ্ছি না। এতে করে আমাদের চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে। দিন দিন মরুভূমির মতো হয়ে যায়। শুকনো হয়ে যায়। গ্রাউন্ড ওয়াটার লেভেল নিয়ে আমরা কত আর সহ্য করবো। আমরা যতটুকু সম্ভব; আমাদের যে নদীগুলো আছে সেগুলোতো সময় মতো পানিগুলো যদি পেয়ে থাকি তাহলে চাষাবাদসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরী হবে।
তিনি বলেন, আমরা যে কাজগুলো করছি, সেগুলো অনেক চ্যালেঞ্জিং। এগুলোতে জনগণের সাপোর্ট প্রয়োজন। পানির ব্যাপারে শুধু ফারাক্কা নয়, আরও অভিন্ন যে ৫৪ টা নদী আছে সেগুলো যাতে ন্যায্য হিস্যা অনুযায়ী পানি পায় সেজন্য আমরা কাজ করবো।
আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন- নিউইয়র্কের আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :