ড. আবদুল মঈন খান-ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, যারা পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক সংঘাত সৃষ্টি করতে চায়, তারা বাংলাদেশের মূল আদর্শে বিশ্বাস করে না। সোমবার (৩০ জুন) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘আজ যারা বড় বড় কথা বলেন, তাদের অনেকেই ভুলে যান যে এ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি আত্মত্যাগ করেছে ছাত্রসমাজ, যার ৮০-৯০ শতাংশই বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছে। তবে তারা কখনো তা মুখে বলেনি, বরং নিজেদের পরিচয় দিয়েছে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে। বাংলাদেশ কারো একক মালিকানার সম্পত্তি নয়। এক বছর আগে আওয়ামী লীগ সেটাই ভাবতে গিয়ে তার ফল ভোগ করেছে। এখনো কেউ যদি একই ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে, তবে সেটা হবে মারাত্মক ভুল।’
তিনি বলেন, ‘পিআর নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পিআর কর্মকাণ্ড চলতেই পারে। কিন্তু এটিকে কেন্দ্র করে যদি কেউ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে দ্বন্দ্ব সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাহলে ধরে নিতে হবে তারা বাংলাদেশের মূল আদর্শে নয়, বরং নিজেদের ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থেই বিশ্বাস করে।’
মঈন খান বলেন, ‘আজ এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, যেন কিছু মানুষ নিজেদের বাংলাদেশের মালিক মনে করছে।’ ‘যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তারা রাজপথে এসে দেখুন বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এক লাখের বেশি মামলা হয়েছে, অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে এমনটা হয়নি। বিএনপির প্রায় ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করে তাদের পেছনে পুলিশ লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।’ অথচ আজ যারা বড় বড় কথা বলছেন, তাদের বিরুদ্ধে আদৌ কোনো অন্যায় হয়েছিল কি না, সে প্রশ্নও উত্থাপন করেন তিনি।
একই অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘যেসব রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়, তারা মূলত নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফাঁদে ফেলার অপচেষ্টায় লিপ্ত।’ তিনি আরো অভিযোগ করেন, লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
আপনার মতামত লিখুন :