বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পিআর পদ্ধতি ব্যক্তির প্রতিনিধি পছন্দের স্বাধীনতা খর্ব করে। এখানে কিন্তু দলকেই পছন্দ করতে হয় অর্থাৎ ওই দলকেই ভোট দিতে হবে। এখানে ব্যক্তি ইম্পর্টেন্ট হবে না।
মাঝে মাঝেই আমরা এমন কিছু বিষয় দেখতে পাই, যেগুলো আমাদের একটু উদ্বিগ্ন করে তোলে- মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পিআর বিষয়টা অনেক দেশে আছে, অবশ্যই আছে কিন্তু এটার সাথে আমাদের দেশের মানুষের খুব বেশি পরিচিত না। আমরা এক ব্যক্তি, এক ভোট- এটাকে বুঝি। সেভাবেই ব্রিটিশ থেকে এই পদ্ধতিতে কিন্তু এখানে নির্বাচন হয়েছে। পার্লামেন্ট গঠন হয়েছে সরকার গঠন হয়েছে। আজকে যখন বিষয়টা সামনে আসছে, আন্দোলন হচ্ছে। তখন কিন্তু আপনারা স্বাভাবিকভাবেই অতি দ্রুত একটা নির্বাচন চান, দেশে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য, গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করার জন্য, পার্লামেন্ট গঠন করার জন্য। আমরা একটু উদ্বিগ্ন হই, সেজন্য আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি, বিষয়টি আগামী পার্লামেন্টের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। আগামী পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা যদি মনে করেন, এরপর থেকে পিআরে যাবেন, যাবেন। জনগণ যদি মনে করে পিআরে যাবেন, যাবেন।
আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরামের নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খ্রিস্টান ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ফাদার আলবার্ট রোজারিও। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অনিল লিও কস্তা।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বাংলাদেশী এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। এটা আমাদের বলতে হবে, প্রতি মুহূর্তে মনে রাখতে হবে। আজকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, যে বাংলাদেশেকে অসাম্প্রদায়িক জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম, সেখানে বিভিন্ন রকমের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, এটাকে একটা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার জন্য। আমরা এটার সবসময় প্রতিবাদ করেছি।
তিনি বলেন, খুব আশা করছি, আগামী নির্বাচনে জনগণ আরেকবার রায় দেবে। বাংলাদেশের মানুষ সত্যিকার অর্থেই অসাম্প্রদায়িক এবং তারা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, অনেক রকম রাজনীতি হচ্ছে। অনেক রকম কথা হচ্ছে। আমরা আশা করেছিলাম, আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে একটা নির্বাচন দেবে, যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বাংলাদেশের জন্য। সুষ্ঠু ও অবাধ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। তারা চেষ্টা করছেন, নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে পরিবর্তনের জন্য সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে, সংস্কার কমিশন আলোচনা শেষ করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে আলোচনা প্রায় শেষ হয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর সবাই আশা করছি, যেগুলাতে একমত, সেগুলোতে সব রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করবে এবং যেগুলোতে একমত হতে পারেনি, সেগুলো ভবিষ্যতে নির্বাচনে, আসন্ন নির্বাচনে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের ম্যানিফেস্টো হিসেবে নিয়ে আসবে। জনগণের সামনে সেটাকে প্রস্তাব আকারে তুলে ধরবে।
আপনার মতামত লিখুন :