তিনি শক্তিশালী রাষ্ট্রনায়ক। হাবেভাবেও ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ভাবমূর্তি। তার চালচলন ও চলাফেরাতেও সেই বার্তা দিতে পছন্দ করেন। আর তার শরীর নিয়ে কোনো বিদেশি গবেষণা করতে না পারেন সে জন্য সচেষ্ট তিনি। তাইতো বিদেশ সফরে রুশ প্রেসিডেন্টের বর্জ্য অর্থাৎ মলমূত্র সংগ্রহ করে নেওয়া হয়।
এমনই দাবি ফরাসি নিউজ ম্যাগাজিন ‘প্যারিস ম্যাচে’র। তাদের দাবির সমর্থন করেছে অন্যান্য বহু সংবাদমাধ্যম। কিন্তু কেন এমন ব্যবস্থা? সংবাদমাধ্যমের দাবি, এমনটা অবশ্য নতুন নয়। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আসছেন পুতিন। তিনি বিদেশে গেলেই তাঁর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা এই বিষয়টি দেখেন।
বিশেষ প্যাকেটে মলমূত্র সংগ্রহ করে সুটকেসে তা ভরে ফেরত আনা হয় মস্কোয়। এর পিছনে কী কারণ সেকথা বলতে গিয়ে ডিআইএ’র প্রাক্তন গোয়েন্দা অফিসার রেবেকা কফলারের বক্তব্য, ‘পুতিনের ভয়, বিদেশি গোয়েন্দারা সব সময় লক্ষ্য রাখে কী করে পুতিনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনো না কোনো তথ্য জোগাড় করা যায়।’
এ ছাড়াও মনে করা হচ্ছে, যাতে তাঁর বর্জ্য থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করা না যায়, সেটা নিশ্চিত করতেও এমন করা হয়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময় থেকেই বারবার পুতিনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা জল্পনা শোনা গেছে।
এমনও গুঞ্জন, ক্যানসারে আক্রান্ত পুতিন। আরও বড়জোর তিন বছর তাঁর আয়ু বাকি। যদিও রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ এটা গুজব বলেই দাবি করেছে।