পুলিশের সেই ভোট ডাকাতরা এখনও গদিতে ব্যাবস্থা নেওয়া জরুরী


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫, ১১:১১ অপরাহ্ণ /
পুলিশের সেই ভোট ডাকাতরা এখনও গদিতে ব্যাবস্থা নেওয়া জরুরী

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মাঠপ্রশাসনের সেই ৬৪ জেলার এসপি, মেট্টোপলিটনের ডিসি, রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ কমিশনাররা ছাত্র-জনতার খুনের মামলার আসামি হয়েও অধরা। অন্তবর্তীকালিন সরকারের প্রায় ৭ মাস হলেও পুলিশ প্রশাসনের নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেই পলাতক পুলিশ কর্মকর্তা রক্ষা এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের তথ্য দেয়াসহ নানাভাবে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। অথচ ২০১৮ সালের রাতের ভোট ডাকাতির ‘মাস্টারমাইন্ড’ ডিসিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হলেও পুলিশ প্রশাসনের ভোট ডাকাতরা এখনও গদিতে বসে রয়েছেন।

এসব পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে জনগণের ভোটচুরি বিস্তর অভিযোগ। অধিকাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তারা পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে দুহাতভরে উৎকোচ নিয়ে ভোটের আগের রাতেই ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর নেতৃত্ব ছিলেন। এদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা পুলিশ সদর দফতর। এসব কর্মকর্তারাই নানা চতুরতায় এখনও পুলিশ সদর দফতরসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত রয়েছেন। অথচ বর্তমান অন্তবর্তীকালিন সরকারের প্রথম এজেন্ডাই ছিল বৈষ্যমবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের হাতে শহীদ হওয়া ছাত্র-জনতার হত্যার বিচার করা।

গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী সরকারদলীয় প্রার্থীদের জয় লাভে এসব পুলিশ কর্মকর্তাদের ভ‚মিকা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হলেও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তারা প্রার্থীদের কাছ থেকে ‘হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্ট’ কামিয়েছিলেন অভিযোগ রয়েছে। একইসাথে এসপি, ডিসি, রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্টোপলিটনের কমিশনার, পুলিশ সদর দফতর ও এসবির নীতি নির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তারা সবাই পদোন্নতিও পেয়েছেন।গত সপ্তাহে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠানো একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সরকারদলীয় প্রার্থীদের জিতিয়ে দেওয়ার নেপথ্যের আলোচিত-সমালোচিত জেলার এসপি, মেট্টোপলিটনের ডিসি (পুলিশ সৃুপার), রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্টোপলিটনের কমিশনার, পুলিশ সদর দফতর ও এসবির নীতি নির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তারা অন্তবর্তীকালিন সরকারের প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলছেন।

অনেকেই ওএসডি হলেও এদের মধ্যে কেউ কেউ নতুন করে পদও বাগিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা খরচ করে। রাতের ভোটের কারিগর বলে পরিচিত এসপি, ডিসি, ডিআইজি, পুলিশ সদর দফতর ও এসবির নীতি নির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিপুল অঙ্কের অবৈধ আয়ের কর ফাঁকি দেয়ার দুদকের তদন্ত অনেকটাই থেমে গেছে। অনেকেই আবার প্রশাসনে বহাল তবিয়তেই আছেন।

এরই মধ্যে গত শুক্রবার অন্তর্বতী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জোর দিয়ে বলেছেন, দিনের ভোট রাতে করার অভিযোগে দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। আলোচিত এইসব এসপি ২০১৮ সালের নির্বাচনে রাতের ভোট দিনে করায় সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ৬৪ জেলার দায়িত্বে থাকা এসব এসপিদেরও ওএসডি অথবা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে।

ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে আলোচিত-সমালোচিত ২০১৮ সালের রাতের ভোটের নির্বাচনে প্রধান ভ‚মিকায় ছিল পুলিশ বাহিনী। এসবি ও পুলিশ সদর দপ্তরের কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তাসহ মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপাররা ওই অপকর্মে মুখ্য ভ‚মিকা পালন করেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ওইসব পুলিশ কর্মকর্তা পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে উল্টো বিরোধী দলসহ সাধারণ জনগণের ওপর দমন-পীড়নে নেতৃত্ব দেন। আওয়ামী লীগও টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় টিকে গিয়ে ওইসব পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি ও পোস্টিংয়ের পাশাপাশি নানা অবৈধ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে।

তাৎপর্যের বিষয় হলো, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও পুলিশের ওইসব কর্মকর্তা রয়ে গেছেন বহাল তবিয়তে। কেবল হাতে-গোনা কয়েকজনকে পুলিশের বিভিন্ন দফতরে সংযুক্ত করা হয়। অন্যান্য অভিযোগে চাকরিচ্যুত হন কয়েকজন। বাংলাদেশ সিভিল ফোর্স নামের একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স¤প্রতি ২০১৮ সালের রাতের ভোটের কারিগর পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম ও ছবিসহ একটি তালিকা প্রকাশ হয়েছে। ওই তালিকা ধরে খোঁজখবর নিয়ে দেখা গেছে, দেশের ৬৪ জেলায় রাতের ভোটের সময় পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরতদের অনেকেই চাকরিতে নিজেদের অবস্থান আরও পোক্ত করে নিয়েছেন। তাদের অনেকেই অতিরিক্ত ডিআইজি ও ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্ব পালন করছেন।

এতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় পুলিশ প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন জাভেদ পাটোয়ারী। আর পুলিশ সদর দপ্তরে ডিআইজি প্রশাসন হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন হাবিবুর রহমান। আর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার ছিলেন আছাদুজ্জামান মিয়া। ডিএমপির তৎকালীন উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, পুলিশ কর্মকর্তা প্রলয় কুমার জোয়াদ্দার, সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম, র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, নারায়ণগঞ্জের তৎকালীন পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদারসহ গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ এলাকায় বাড়ি এমন পুলিশ কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেট ওই নির্বাচনে রাতের ভোটের মূল কারিগর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই নির্বাচনের পর আর রাতের ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে সহযোগিতার পুরস্কার হিসেবে ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের (এসপি) পুলিশ সপ্তাহে পদকও দেওয়া হয়। ওই বছর সর্বোচ্চ পদক দেওয়া হয় পুলিশকে। বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে যা ইতোপূর্বে আর কখনই হয়নি।

মাঠ পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইনকিলাবকে বলেন, পুলিশের তিনটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুরো পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। মূলত ভোটবিহীন সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরা পুরো বাহিনীকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন ডিআইজি (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান তার কক্ষে বসেই সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মী ও সাবেক এমপিদের নির্বাচনী এজেন্টদের তালিকা তৈরি করেন। সে অনুযায়ী শুরু হয় পুলিশের অভিযান। মাঠ পুলিশের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আসতে থাকে।

এ সময় হাবিবুর রহমানকে সাহায্য করেন পুলিশ কর্মকর্তা আনজুমান কালাম, মনিরুজ্জামান ও হাফিজ আক্তার। তবে এতকিছুর পরও আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত হতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয় ভোটের আগের রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মারার। সে অনুযায়ী পুলিশ কর্মকর্তারা যার যার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় ভোটকেন্দ্রে রাতেই কারচুপি শুরু করেন। রাতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে নৌকা প্রতীকে সিল দিয়ে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করা হয়। আর এভাবে কয়েকটি আসন বাদ দিয়ে বাকিগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে দেশের ৬৪ জেলায় পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের অধিকাংশই ছিলেন ২০, ২১, ২২ ও ২৪ ব্যাচের। আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে তাদেরকে নির্বাচনের আগে থেকেই পছন্দের জেলায় পদায়ন করা হয়। আর সেই আস্থার প্রতিদান দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে এসব কর্মকর্তা সব অপকর্মই করেছেন। তারা নির্বাচনের আগের রাতেই নৌকা প্রতীকে সিল মেরে ব্যালট দিয়ে বাক্স ভরাটের ব্যবস্থা নেন। আর নির্বাচনের দিন সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও ৫০ শংতাশের বেশি ভোট পড়েছে বলে দেখানো হয়।

২০১৮ সালে রাতের ভোটে কে কোন জেলার এসপি ছিলেন: শনিবার পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা জেলায় শাহ মিজান শাফিউর রহমান বর্তমানে ডিআইজি রেলওয়ে পুলিশ ঢাকায় সংযুক্ত, নরসিংদী জেলায় মিরাজ উদ্দিন বর্তমানে ডিআইজি রেলওয়ে পুলিশ ঢাকায় সংযুক্ত, গাজীপুর জেলায় শামছুন্নাহার বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সারদায় সংযুক্ত, শরীয়তপুর জেলায় আব্দুল মোমেন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সংযুক্ত ডিএমপি, নারায়নগঞ্জ জেলায় হারুন অর রশীদ বর্তমানে ডিআইজি সাময়িক বরখাস্ত ও পলাতক, টাঙ্গাইল জেলায় সঞ্জিত কুমার রায় বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি ডিএমপিতে সংযুক্ত, কিশোরগঞ্জ জেলায় মাশরুকুর রহমান খালেদ বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি বরিশাল রেঞ্জ, মানিকগঞ্জ জেলায় রিফাত রহমান শামীম বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ জেলায় মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি এপিবিএন খাগড়াছড়ি সংযুক্ত, রাজবাড়ি জেলায় আসমা সিদ্দিকা মিলি বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি পুলিশ ট্টেনিং সেন্টার রংপুর, মাদারীপুর জেলায় সুব্রত কুমার হাওলাদার বর্তমানে এসপি সারদা, গোপালগঞ্জ জেলায় মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি স্টাফ কলেজ, ফরিদপুর জেলায় জাকির হোসেন খান বর্তমানে ডিআইজি পিবিআই ঢাকায় সংযুক্ত, কুমিল্লা জেলায় সৈয়দ নুরুল ইসলাম বর্তমানে ডিআইজি সারদায় সংযুক্ত, ফেনী জেলায় এসএম জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে এসপি ট্যুরিস্ট পুলিশ সদর দফতর ঢাকা, বি-বাড়িয়ায় আনোয়ার হোসেন খান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি আর আর এফ চট্টগ্রাম,রাঙ্গামাটি জেলায় আলমগীর কবির বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সারদায়, নোয়াখালী জেলায় ইলিয়াস শরিফ বর্তমানে ডিআইজি এন্টি টেররিজম ইউনিট ঢাকায় সংযুক্ত, চাদপুর জেলায় জিহাদুল কবির বর্তমানে ডিআইজি পিবিআই ঢাকায় সংযুক্ত, লক্ষীপুর জেলায় মাহতাব উদ্দিন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি ময়মনসিংহ রেঞ্জ, চট্টগ্রাম জেলায় নুরে আলম মিনা বর্তমানে ডিআইজি সারদায় সংযুক্ত, ক´বাজার জেলায় মাসুদ হোসেন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সারদা, খাগড়াছড়ি জেলায় আহমার উজ্জামান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সারদা, বান্দরবান জেলায় জাকির হোসেন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি বরিশাল, ময়মনসিংহ জেলায় শাহ আবিদ হোসেন বর্তমানে ডিআইজি ট্যুরিষ্ট পুলিশ ঢাকায় সংযুক্ত, শেরপুর জেলায় কাজী আশরাফুল আজিম বর্তমানে এসপি চট্ট্রগাম রেঞ্জ, জামালপুর জেলায় দেলোয়ার হোসেন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সিআইডি, নেত্রকোনা জেলায় আকবর আলী মুন্সি বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি ইন সার্ভিস সেন্টার লালমনির হাট, সিরাজগঞ্জ জেলায় টুটুল চক্রবর্তী বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি খুলনা রেঞ্জে সংযুক্ত, পাবনা জেলায় শেখ রফিকুল ইসলাম বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি এপিবিএন খাগড়াছড়ি, বগুড়া জেলায় আলী আশরাফ ভুইয়া বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি বেতবুনিয়া রাঙ্গামাটি, রাজশাহী জেলায় শহিদুল্লাহ বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি খুলনা রেঞ্জ, নাটোর জেলায় সাইফুল্লাহ আল মামুন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি শিল্পাঞ্চল পুলিশ, জয়পুর হাট জেলায় রশীদুল হাসান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি পিবিআই সদর দফর, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায় মোজাহিদুল ইসলাম বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি এন্টি টেররিজম ইউনিট খুলনা, নওগাঁ জেলায় ইকবাল হোসেন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি হাইওয়ে, সাতক্ষীরা জেলায় সাজ্জাদুর রহমান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি রংপুর রেঞ্জ, মেহেরপুর জেলায় মোস্তাফিজুর রহমান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি রাজশাহী রেঞ্জ, নড়াইল জেলায় জসিম উদ্দিন বর্তমানে এসপি ডিএমপি, কুষ্টিয়া জেলায় তানভির আরাফাত বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ অফিস, মাগুড়া জেলায় খান মোহাম্মদ রেজুয়ান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি এসপিবিএন টু, খুলনা জেলায় এস এম শফিউল্লাহ বর্তমানে এসপি রংপুর রেঞ্জ, বাগেরহাট জেলায় পংকজ চন্দ্র রায় বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি রেলওয়ে সদর দফতর, ঝিনাইদহ জেলায় হাসানুজ্জামান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সিআইডি, পটুয়াখালী জেলায় মইনুল হাসান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি শেরপুর, পিরোজপুর জেলায় সালাম কবির বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সিআইডি ময়মনসিংহ, বরিশাল জেলায় সাইফুল ইসলাম বর্তমানে ডিআইজি সারদা সংযুক্ত, ভোলা জেলায় মোক্তার হোসেন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সারদা, বরগুনা জেলায় মারুফ হোসেন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, সিলেট জেলায় মনিরুজ্জামান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি এসবি, হবিগঞ্জ জেলায় মোহাম্মদ উল্লাহ বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি পুলিশ সদর দফতর, সুনামগঞ্জ বরকত উল্লাহ খান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি হাইওয়ে পুলিশ সদর দফতর, পঞ্চগড় জেলায় গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি এপিবিএন সদর দফতর, দিনাজপুর জেলায় সৈয়দ আবু সায়েম বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি পিবিআই, লালমনির হাট জেলায় রশিদুল হক বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সারদা সংযুক্ত, গাইবান্ধা জেলায় আব্দুল মান্নান মিয়া বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি রংপুর রেঞ্জ, ঠাকুরগাঁও জেলায় মনিরুজ্জামান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি এন্টি টেররিজম ইউনিট ময়মনসিংহ, রংপুর জেলায় মিজানুর রহমান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি বরিশাল রেঞ্জ, কুড়িগ্রাম জেলায় মেহেদুল করিম বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি আর আর এফ রংপুর, নীলফামারি জেলায় আশরাফ হোসেন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি পুলিশ ট্টেনিং সেন্টার নোয়াখালী।